তেঁতুলিয়া প্রতিনিধিঃপঞ্চড়ের প্রত্যন্ত উপজেলা হিসেবে পরিচিত তেঁতুলিয়া, তেঁতুলিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও নেই কোনো চালক। তেঁতুলিয়া উপজেলার আয়তন ১৮৯.১২ বর্গকিমি (৭৩.০২ বর্গমাইল) এতে সময়মতো চিকিৎসাসেবা নিতে পারছেন না উপজেলার এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এ অবস্থায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে জরুরি চিকিৎসাসেবা নিতে এই উপজেলার মানুষকে ভরসা করতে হয় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস অথবা ভটভটি ও রিকশাভ্যানের ওপর। এতে বাড়তি ভাড়া ও চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে এ উপজেলার রোগীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সর্বশেষ অ্যাম্বুলেন্স চালক গত ১৬ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন। হাসপাতালে চারদিকে যেনো ময়লা,আবর্জার পাহার, দুর্গন্ধে ভরা পূরো হাসপাতাল, সেবা নিতে আসা রোগীদের নানান অভিযোগ। সেবা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন অভিযোগ করে বলেন, জরুরী বিভাগের পিছনে দুর্গন্ধে ও আবর্জার কারনে মশার প্রকোপ অনেক বেশি।
সরেজমিন দেখা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গুরুতর রোগীদের এখান থেকে স্থানান্তর করা হয় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। স্থানান্তরিত রোগীদের পরিবহনের জন্য স্বজনদের ছুটতে হয় প্রাইভেট গাড়ির কাছে আর সুযোগ বুঝে প্রাইভেট গাড়িগুলো সরকারি ভাড়ার তুলনায় অনেক বেশি অর্থ হাতিয়ে নেয়। বিপদে পড়ে বেশি টাকা দিয়েই উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়মিত ছুটছেন রোগীর স্বজনরা।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো.আবুল কাশেম বলেন, আমি অ্যাম্বুলেন্সের চালক নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এছাড়াও একাধিকবার মৌখিকভাবে আমি তাদের জানিয়েছি। দ্রæত সময়ে শূন্যপদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক পদায়ন হলে অত্র উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরো বলেন, বিগত দিন থেকে এখন হাসপাতাল অনেক পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন কোনো অ্যাম্বুলেন্সচালক পদায়ন না হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গ্যারেজে দুটি অ্যাম্বুলেন্স পড়ে আছে। এতে অ্যাম্বুলেন্সের যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।