দ্রব্যমুল্যেে উর্দ্ধগতির প্রভাব ব্রয়লার মুরগীর মাংসে পড়ায় বিপাকে দিনাজপুর অঞ্চলের মধ্যবিত্ত ও নি¤œমধ্যবিত্ত ছাড়াও নি¤œ আয়ের পরিবারগুলো। যে কোন মাংসের চেয়ে একমাত্র ব্রয়লারের মাংস বা মুরগীর দাম কম ছিল। কিন্তু সেটাও হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই বাজারে ব্রয়লার মুরগী কেটে কেজিতে বিক্রি করার প্রবণতা লক্ষনীয়। গরু-ছাগলের মাংসের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় দিনাজপুরের অনেক মানুষ আত্মীয়-স্বজনদের আপ্যায়ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা অনেক বেশি। সেই ব্রয়লার মুরগির মাংস এখন এক লাফে প্রতি কেজি ২০০টাকা থেকে বেড়ে ২৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগী ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০টাকায়। অথচ গত ৪দিন আগেও ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকা প্রতি কেজি। তবে দেশি ও সোনালী মুরগীর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আগের মতোই দেশি মুরগী ৩৮০টাকা ও সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০টাকা কেজি দরে।
দিনাজপুর শহরের বাজার ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার বাজারেও ব্রয়লার মুরগীর মাংস কেটে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খামারীসহ বিক্রেতাদের অনেকে বলছেন, ঈদের পর কুরবানীর মাংস বাড়িতে থাকায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কম থাকে। তারপরও গরমের সময় মুরগী মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে ক্ষতির আশাঙ্কায় অনেকে মুরগির ফার্ম বন্ধ রাখে। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। এছাড়া পিকনিকসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুরগির চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে দাম বেড়েছে। আবার পরিবহনে ও পোল্ট্রি ফিডের দামের কারণেও দাম বেড়েছে বলে অনেকে জানান।
দিনাজপুরের দরিদ্রতম উপজেলা হচ্ছে খানসামা। সেখানের খানসামা ও পাকেরহাট বাজারের মুরগী মার্কেটে দেখা যায়, বেশির ভাগ দোকানদার ব্রয়লার মুরগি জবাইয়ের পর পরিস্কার করে সাজিয়ে রেখেছেন। তবে ক্রেতার দেখা মিলছে না। আর যারা কিনতে আসছে তারাও দাম শুনে চলে যাচ্ছে কিংবা চাহিদার তুলনায় কম করে মাংস নিয়ে যাচ্ছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে আগে বিক্রি হয় ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়।
খানসামা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রুবেল ইসলাম ও মশিউর রহমান বলেন, কিছুদিন আগেও মুরগির দাম কম ছিল। তবে যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, সে হারে ফার্ম থেকে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণেই হয়তো ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে ঘাটতি থাকায় দাম বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে খানসামা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, বাজারে মুরগীর খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বাড়ছে। তবে বয়লার মুরগির খাদ্যের দাম সহনীয় হলেই দাম আবারো কমবে বলে আশা করা যায়।