বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে চাঞ্চল্যকর অবিনাশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন বীরগঞ্জ থানা পুলিশ। প্রকাশ থাকে( ১৫আগষ্ট -২০২২)সোমবার সকাল ১০ টায় সংবাদ পেয়ে বীরগঞ্জ থানা পুলিশ সিংড়া জাতীয় উদ্যান থেকে একজন অপরিচিত ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। ওই দিন বিকেলে নীলফামারী সদর থানাধীন চক দুবলিয়া হতে ভিকটিমের পরিবার ও তার বড়ভাই এসে লাশের পরিধেয় কাপড় দেখে লাশটি তার ছোট ভাই অবিনাশ রায়ের(২৭)বলে সনাক্ত করে এবং বীরগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মৃতের বড় ভাই সুদান চন্দ্র রায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-১৭, তাং ১৫/০৮/২০২২ ইং। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ আগষ্ট রাতে বীরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে খানসামা থানার পাকেরহাট থেকে সন্দেহভাজন চিরিরবন্দর থানার যতরঘু গ্রামের সাগর চন্দ্রের ছেলে শিশির চন্দ্র(১৯) ও খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের ইসাহাকের ছেলে রাশেদুল ইসলাম রাসেদ(২২) কে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদকালে ব্যক্তিদ্বয় আলোচ্য অবিনাশ হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকারোক্তি দেয় , ভিকটিম অবিনাশ রায় একজন ব্যাটারিচালিত অটো চালক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ ও সহজ সরল হওয়ায় তারা তাকে হত্যা করে ওই অটোটি নেওয়ার পরিকল্পনা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১০ আগষ্ট ২০২২ ইং সকালে শিশির চন্দ্র রায় ভাড়ায় নিয়ে ভিকটিম অবিনাশ এর অটো যোগে বরুয়া হতে পাকের হাট এসে রাসেদকে উক্ত অটোচার্জারে উঠিয়ে নেয়। এরপরে অবিনাশ সহ শিশির ও রাশেদ পাকেরহাট থেকে বীরগঞ্জ হয়ে সিংড়া জাতীয় উদ্যানের অভ্যন্তরে রাস্তার উপরে অটো চার্জারটি দার করিয়ে রেখে অবিনাশকে কৌশলে গভীর জঙ্গলে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গলায় রশি পেঁচিয়ে, চাকু দিয়ে গলায় আঘাত করে অবিনাশের মৃত্যু নিশ্চিত ও হত্যা করে ব্যাটারি চালিত অটো নিয়ে পালিয়ে যায় এবং চিরিরবন্দর থানার রানীরবন্দরে উক্ত অটোটি বিক্রি করে দেয়। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অবিনাশের ব্যাটারি চালিত অটোটি চিরিরবন্দরের রানীবন্দর হতে উদ্ধার করা হয় এবং সিংড়া জাতীয় উদ্যানের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতারকৃতদের দেখানোমতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণ করেন । গ্রেফতারকৃত শিশির চন্দ্র ও রাসেদ হত্যার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আরো জানা যায়, যোগেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে অবিনাশ রায় দুমাস আগে কিস্তিতে এই ব্যটারিচালিত অটোটি ক্রয় করেছিলো এবং মৃত্যুর মাত্র ৭ দিন আগে তার বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। এ ব্যাপারে ২৫ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এর কক্ষে ওসি সুব্রত কুমার সরকার, পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) ওসি মোঃ মইনুল ইসলামের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( বীরগঞ্জ সার্কেল) খোদাদাদ সুমন প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের উল্লেখিত তথ্য প্রদান করেন।