দিনাজপুর প্রতিনিধি \
দিনাজপুর শহরের এক বাড়ীতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে নবম শ্রেনীর ছাত্রীর বাল্য বিয়ের হাত রক্ষা পেল।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দিনাজপুর শহরের ১নং ওয়ার্ডের বৈশাখীর মোড় এলাকায় বাড়ীতে ওই নবম শ্রেনীর স্কুল ছাত্রীর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। বিয়ের অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজতেছে, বর আসবে গেট সুসজ্জিত করা হয়েছে। রান্নাবান্নার কাজও শেষ, আত্মীয়-স্বজনসহ প্র্রতিবেশীরাও অনুষ্ঠানে এসেছে। বর পক্ষ আসছে এমন সময় খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল ম্ঈুদ উপস্থিত হওয়ার মূহুর্তে বর পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নিয়ে ইউএনও ওই ছাত্রীর বাবাকে বুঝিয়ে বিয়ের আয়োজন বন্ধ করে দেন।
গতকাল শুক্রবার ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে এক প্রবাসী তরুনের বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও কৌশলে রাতেই বিয়ের দেয়ার চেষ্ঠা ছিল দুই পরিবারের এমনটি জানায় স্থানীয়রা।
দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল ম্ঈুদ কাছে কনের বাবা-মা অঙ্গীকার করে মুচলেকা দেয়। ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ওই ছাত্রীর বিয়ে দেবেন না-এই মর্মে ওই ছাত্রীর মা ও বাবা মুচলেকা দিয়েছেন। তাঁরা যদি এই অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন, তাহলে বাংলাদেশের ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ সময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার আলী ও কোতয়ালী থানার পুলিশ সদস্যরা।
দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদ জানান, রাতে খবর পায়, শহরে একটি বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছে। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। মূলত গায়ে হলুদের আয়োজন হলেও বর ও কনে পক্ষের উদ্দেশ্য ছিল তাঁরা কৌশলে বিয়ে সম্পন্ন করতেন। তবে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধির সহায়তায় বিয়ের আয়োজন বন্ধ করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর মা-বাবা লিখিত অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন। বরপক্ষের লোকজনকেও দেখা করার জন্য বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।