দিনাজপুর প্রতিনিধি \
জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বিশ্বশান্তি, ন্যায় ও মানবকল্যানের পথ প্রদর্শক এবং কল্যাণের প্রতীক বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) উল্লেখ করে বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। রাসূলুল্লাহ সা. বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তা সভ্যতার ইতিহাসে নজিরবিহীন। হযরত মুহাম্মদ সা. বিশ্বশান্তির স্মারক হয়ে আছেন এবং থাকবেন। বস্তুত সমাজে অনাচার, অবক্ষয় ও অশান্তি দেখে রাসূল সা. মর্মপীড়ায় ভুগতেন এবং এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটা যৌক্তিক উপায় খুঁজে বের করতে মনোনিবেশ করেছিলেন। তিনি বলেন, মহানবী (সা.) মানবজাতির জন্য মহান আল্লাহর সবচেয়ে বড় উপহার। মানব সভ্যতার সবচেয়ে সমৃদ্ধ পর্যায়গুলোর প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বনবী (সা)-এর অতুলনীয় মহত্ত¡ ও গুণের ছাপ স্পষ্ট।
রোববার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন কমিটি ও ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার দিনাজপুরের আয়োজনে বিশাল ইসলামিক র্যালী শহর প্রদক্ষিণ শেষে দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ১৭ জন শিক্ষার্থীদের পাগড়ী প্রদান করা হয়। দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন কমিটি ও ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার দিনাজপুরের আয়োজনে রক্তদান কর্মসুচী ও মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
এর আগে সকালে বিশাল ইসলামিক র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার দিনাজপুরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ এরশাদ আহমেদ আল বুখারী।
উপস্থিত ছিলেন, দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসলাম উদ্দীন, দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সোহাগ, শহর আওয়ামীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রায়হান কবীর সোহাগ, সাধারন সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজু, দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলহাজ্ব ওয়াহেদুল আলম আর্টিষ্ট, দে মিলাদুন্নবী উদযাপন কমিটির সভাপতি শফিউল্লাহ খান সুক্লা, সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক লাবু, সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম খুশনুদ আলম, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার দিনাজপুরের পরিচালক সৈয়দ আলীম আহমেদ প্রমুখ।
শেষে ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার দিনাজপুরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ এরশাদ আহমেদ আল বুখারী।