শনিবার , ১৫ অক্টোবর ২০২২ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ সময়ের প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
অক্টোবর ১৫, ২০২২ ১০:৪৬ অপরাহ্ণ

বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দেশব্যপী চলছে জেলা পরিষদ নির্বাচন, আগামী ১৭ অক্টোবর’২২ ইভিএম-এ ভোট হবে।সে উপলক্ষে শেষ সময়ে চলছে ব্যপক প্রচার প্রচারণা। আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরের ভোটের মাঠে সরব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ভোটারদের মধ্যে তত আলোচনা-সমালোচনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কে হচ্ছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন বীরগঞ্জ, কাহারোল, খানসামা সহ দিনাজপুরের ১৩ টি উপজেলা ও ৯ টি পৌরসভার জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি ভোটারগন। এ দিকে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে প্রার্থীরা চালাচ্ছেন বিভিন্ন রকম প্রচার প্রচারণা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপকভাবে চলচে প্রচার প্রচারণা। বসে নেই প্রার্থীদের কর্মী,সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
দিনাজপুর জেলা পরিষদের সব ওয়ার্ড থেকে টপ অব দি ওয়ার্ড হচ্ছে ১নং ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে দুইজন জেলা পরিষদ সদস্য প্রার্থীর মধ্যে সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য -১ এর আতাউর রহমান বাবু নমিনেশন ফরম দাখিল করলেও পরাজয় নিশ্চিত জেনে নমিনেশন প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রোকুনুজ্জামান বিপ্লব। দিনাজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ( বীরগঞ্জ, কাহারোল, খানসামা) – ১নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুইজন প্রার্থী। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনা সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান, কাহারোল উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের একাধারে তিনবারের সফল ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা -১ আসনের সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মীরা মাহবুব “টেলিফোন” মার্কা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছেন। অপরদিকে বীরগঞ্জ উপজেলার সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ শাহানাজ পারভীন তার ফুটবল মার্কা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার সাধারণ জনগণ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ। তাই ভোটারদের মন জয় করা খানিকটা কঠিন। প্রার্থীরা ভোটারদের ভোট বাগিয়ে নিতে বিভিন্ন চেষ্টা, তদবির ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সকলেই নিজেদের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য -১ আসনের প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় এগিয়ে রয়েছে জনগনের পরিক্ষিত সাবেক জেলা পরিষদের সফল সদস্য “টেলিফোন” মার্কা প্রতিকের প্রার্থী মীরা মাহবুব । এরইমধ্যে তিনি দিনাজপুর জেলা পরিষদ (বীরগঞ্জ,কাহারোল,খানসামা )মিলে -১ নং ওয়ার্ডের ২৩ ইউনিয়ন,১ টি পৌরসভা ও তিনটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সহ সকল ভোটারদের কাছে উনার “টেলিফোন” মার্কা প্রতিকে ভোট কামনায় দোয়া চেয়েছেন।মাঠ পর্যায়ে অনেকের কাছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন তিনি। নিজ ইউনিয়নের ভোট এবং অন্যান্য ইউনিয়নের ভোট সমানভাবে নিজের “টেলিফোন” মার্কা প্রতীকে আনবেন বলে তিনি আশাবাদী।
ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণ নির্বাচনের মতো জেলা পরিষদের ভোট নয়।এখানে ভোটাররা সকলেই জনপ্রতিনিধি। সে কারণে গতানুগাতিক ভোটের চিত্র আলাদা এ নির্বাচনে। ফলে প্রার্থীদের সম্পর্কে চুলছেরা বিশ্লেষন করেন ভোটারেরা। সেক্ষেত্রে ব্যক্তি যোগ্যতার চেয়ে রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডে ভোট পেতে বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখে। তবুও বিপদ-আপদে যাকে কাছে পান তাকেই যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করবেন বলে প্রত্যাশা জনপ্রতিনিধি ভোটারদের। অন্যদিকে, প্রার্থীরা আগামীতে বিপদাপদে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগন ও জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন চাইছেন। আর প্রার্থীরা উন্নয়নের সাথে, জনগনের কাজের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় সকলেই ভোট প্রত্যাশা করে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তাই দিনরাত ভোটারদের ভোট পেতে বীরগঞ্জ, কাহারোল ও খানসামা উপজেলার একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তের নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। দিনাজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত -১ আসনের টেলিফোন মার্কা নিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত সদস্য প্রার্থী মীরা মাহবুব বলেন, এবারের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করায় ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আশা করি আমি বিপুল ভোটে জয়ী হবো এবং অতীতের মতো এই তিনটি উপজেলার শতভাগ উন্নয়নের চেষ্টা করব।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমি ও আমার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত।দীর্ঘদিন জনগণের সাথে থেকে কাজ করেছি, কাজ করছি এবং আগামীতেও কাজ করে যাবো যতদিন বেঁচে থাকবো। উল্লেখ্য যে, আগামী ১৭ অক্টোবর দিনাজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই ধারা বাহিকতায় দিনাজপুরেও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোটের মাঠে। দিনাজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক না থাকলেও আওয়ামী লীগ মনোনিত সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুল ইমাম চৌধুরী, বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ তৈয়ব উদ্দিন চৌধুরী এবং জেলা জাপা’র সভাপতি, বহুল পরিচিত বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরীর স্বত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব দেলওয়ার হোসেন।
সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী কোন দলীয় প্রতিক নেই।
মোঃ আজিজুল ইমাম চৌধুরী (চশমা), মোঃ তৈয়ব চৌধুরী (মোটরসাইকেল) ও আলহাজ্ব দেলওয়ার হোসেন (আনারস) মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ৩৪ বছরের লাগাতার অপ্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দেশের সুপরিচিত বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরীর স্বত্ত্বাধিকারী আলহাজ্ব দেলওয়ার হোসেন বংশানুক্রমে জনপ্রতিনিধিত্ব করেছেন। তাঁর মতো সুযোগ্য ব্যক্তিত্ব জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সমগ্র জেলার ১৩ টি উপজেলা ও ৯টি পৌর সভায় ভোটের হাওয়ায় ব্যপক উৎসব মুখোর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ১০৩ টি ইউনিয়ন ও ৯ টি পৌরসভার প্রায় প্রত্যেক ভোটারের সাথে স্বশরীরে সাক্ষাৎ করে তার প্রতিক আনারসে ভোট প্রার্থনা করেছেন।ভোটারেরা তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে মুখে মুখে আওয়াজ তুলছেন, এমনকি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই তাঁর বিজয় শতভাগ নিশ্চিত মর্মে ভোটার ও সমর্থকদের দাবী। তবে হাল ছাড়েনি দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা, জয়ের জন্য লাগাতার প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন তাদের কর্মী, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। ভোটের আর মাত্র একদিন বাকী রয়েছে। সবমিলিয়ে দিনাজপুর জেলা পরিষদে নিজেদের পছন্দের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য প্রার্থী নির্বাচিত করতে এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমেই তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন বলেও মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ , পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ভোটারেরা।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান

ঠাকুরগাঁওয়ে হরিপুরে বাসঝাড় এখন বাবুই পাখির শেষ আশ্রয়

দিনাজপুরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ

আমদানি বন্ধ, দিনাজপুরে হিলিতে পেঁয়াজের দাম ৩-৪ টাকা বেড়েছে

বীরগঞ্জে দুস্থ প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ

করোনা সংক্রমণ ও ডেংগু রোগ প্রতিরোধে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনসিসি’র র‌্যালী, লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ

রাণীশংকৈলে শীতে কাবু ছিন্নমূল মানুষ !

বীরগঞ্জের দলুয়া আওয়ামী লীগ অফিসের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন

জেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের মৃত শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের মাঝে অর্থ বিতরণ