ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিরি\ দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইন্সটিটিউটের জায়গার মালিকানা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব ছালাহ উদ্দিন ও আবু তৈয়ব ছালাহ উদ্দিনের চাচা মোহাম্মদ আলী কাদের নেওয়াজ।
চলছে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন, উভয় পক্ষে বিরাজ করছে উত্তেজনা, যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
মোহাম্মদ আলী কাদের নেওয়াজ জায়গার মালিকানা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার পর, পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে জায়গার মালিকানা দাবী করেছেন ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট এর অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব ছালাহ উদ্দিন।
বধবার সকাল ১০ টায় ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইন্সটিটিউটের সভা কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব ছালাহ উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব ছালাহ উদ্দিন দাবী করে বলেন, তার চাচা মোহাম্মদ আলী কদের নেওয়াজের উপস্থিতে ২০০১ সালে এই অঞ্চলের কারীগরি শিক্ষার বিস্তার ঘটানোর উদ্ধেশ্যে পৌর শহরের গৌরীপাড়া মৌজার ২৪৯ নং দাগে ৩৫ শতক জায়গার উপর ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইন্সটিটিউটটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ কারনে তার পিতা মোজাফ্ফর হোসেন ইন্সটিটিউটের নামে ৩৫ শতক জমি দান করে দেন। বর্তমানে এই ইন্সিটিটিউটে সরকারী ভবন নির্মানের বরাদ্ধ হয় কিন্তু সেই ভবন নির্মানে বাধা দিচ্ছেন তার চাচা কাদের নেওয়াজ।
অপরদিকে কাদের নেওয়াজ গত ২৩ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, গৌরীপাড়া মৌজার ২৪৯ নং দাগের ৬৭ শতক জমি তার মৃত পিতা দারাজ উদ্দিন গত ১৯৭৯ সালে ৪৩৪ নং হেবা নামা দলির মুলে তাকে (কাদের নেওয়াজকে) ও তার বড় ভাই মোজাফ্ফর হোসেনকে সাড়ে ৩৩ শতক করে হেবা করে দেন। এরপর থেকে তারা দু’ভাই নিজ নিজ অংশের জমি খাজনা খারিজ করে নেন। কিন্তু ইন্সিটিটিউটের অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব ছালাহ উদ্দিন পুরো ৬৭ শতক জমি জবর দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন।
জানাগেছে,ফুলবাড়ী ইন্সিটিটিউটের জায়গাকে কেন্দ্র করে ইন্সিটিটিউটের অধ্যক্ষ ও তার চাচা কাদের নেওয়াজের সাথে দির্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কয়েক দফা শালিশ করেও কোন সমাধান দিতে না পারায়, এখন উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। এতে যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কার করছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ইন্সিটিটিউটের জায়গা নিয়ে উভয় পক্ষ একে অপরের খারিজ বাতিলের জন্য মিসকেস দায়ের করেছেন। তবে তিনি এলাকার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার সার্থে উভয় পক্ষকে আপোষ রফা করে নেয়ার আহবান জানিয়েছেন বলে তিনি জানান।