হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি)’র তত্ত¡াবধানে ¯œাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের সায়েন্টিফিক পেপার, থিসিস লেখা এবং পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণের উপর ৪ (চার) দিন ব্যাপি এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।
গতকাল সকাল ১০টায় বিশ^বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এ অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাত হোসেন সরকার, বিজ্ঞান অনুষদের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. বলরাম রায়, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডীন প্রফেসর রাফিয়া আখতার এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন প্রফেসর মো. মেহেদী ইসলাম। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি)’র পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. হারুন-উর-রশীদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইআরটি’র সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ড. বেগম ফাতেমা জোহরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এম. কামরুজ্জামান বলেন, আমি প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুিজবুর রহমানকে যাঁর সুদীর্ঘ ২৪ বছরের লড়াই ও সংগ্রামের মধ্যদিয়ে আমরা পেয়েছি আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ, পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান পেয়েছে আমাদের এই প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ। আজ ৩ নভেম্বর বাঙালি জাতির জীবনে ১৫ আগস্টের পর একটি কলঙ্কময় দিন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শুন্য ও মেধা শুন্য করতে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহচর জাতীয় চার নেতাকে ঘাতকরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে। যাঁদের অশেষ ত্যাগের বিণিময়ে আমাদের এই অনন্য অর্জন প্রিয় বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে যাচ্ছেন। এই গঠন প্রক্রিয়ায় গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ফোরামে গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে বলেন একটি দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যত বেশী গতি পাবে সেই দেশের উন্নতি তত বেশী ত্বরাণি¦ত হবে। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির যে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের গবেষণার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার লক্ষ্যে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অবশ্যই সহায়ক হবে। এজন্য আমি আইআরটি’র পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য, উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ এবং বিজ্ঞান অনুষদের ১১০জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।