বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য (জীব বিজ্ঞান) প্রফেসর ডা. অশোক কুমার পাল বলেছেন, বাংলাদেশে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চিকিৎসকদের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেয়া ভিশন বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস (ইনমাস), দিনাজপুরের অডিটোরিয়ামে প্যারাথাইরয়েড স্ক্যানিং এবং লিম্ফোসাইটোগ্রাফি বিষয়ে বৈজ্ঞানিক সেমিনার এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকে। তাই আমরা যারা চিকিৎসক রয়েছি, এই মহান পেশার মাধ্যমে এমন মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের অন্তর্গত ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস (ইনমাস), দিনাজপুরে বিভিন্ন রোগের আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এখানে বর্তমানে অত্যাধুনিক যন্ত্র রয়েছে। কিন্তু শুধু এই যন্ত্র থাকলেই চলবে না। আমাদের দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে।
ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস (ইনমাস), দিনাজপুরের পরিচালক ও সোসাইটি অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন বাংলাদেশ (এসএনএমবি) এর সহ সভাপতি প্রফেসর ডা. বি কে বোস এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. মোমিনুল হক, ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ক্যাম্পাসে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস (নিনমাস) এর পরিচালক প্রফেসর ডা. শামীম মমতাজ ফেরদৌসী বেগম, বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাকুর খান, দিনাজপুর সদর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. মো. ফজলুর রহমান, ডেপুটি সিভিল সার্জন আশফাক উদ্দীন, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি চিত্ত ঘোষ, এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম এ ওয়াহেদ।
মুল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস (নিনমাস) এর সহযোগী অধ্যাপক এবং পিএমও ডা. পাপড়ী মুৎসুদ্দি ও সহযোগী অধ্যাপক এবং এসএমও ডা. তপতি মন্ডল। লিম্ফেডেমার ব্যবস্থাপনায় লিম্ফোসিন্টিগ্রাফি বিষয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ডা. পাপড়ী মুৎসুদ্দি এবং প্যারাথাইরয়েড অ্যাডেনোমা/ হাইপারপ্লাসিয়ার স্থানীয়করণের জন্য রেডিওনিউক্লাইড প্যারাথাইরয়েড সিনটিগ্রাফি বিষয়ে প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন ডা. তপতি মন্ডল।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মিডফোর্ড ইনমাস এর পরিচালক এবং এসএনএমবি’র বৈজ্ঞানিক সচিব প্রফেসর ডা. হোসেনে আরা রহমান।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে প্রফেসর ডা.বিকে বোস মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনে ইনমাস দিনাজপুরের কর্মকান্ড তুলে ধরেন।