বিষয়গুলো সমন্ধে মানুষকে সচেতন করতে হবে
“সকলে মিলে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিষ্ট্যান্স প্রতিরোধ করি”-এবারের এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৩ নভেম্বর বুধবার জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন দিনাজপুরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে বর্ণাঢ্য র্যালীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আসলাম উদ্দীন। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কক্ষে জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঔষধ প্রশাসন দিনাজপুরে সহকারী পরিচালক এসএম সুলতানুল আরেফিন।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবাশীষ চৌধুরী।
মুক্ত আলোচনা করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আলতাফ হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আরোজ উল্লাহ, ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতি সহ সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম, ভেটেরিনারী সার্জণ ডাঃ এমএ জলীল, মেডিসিন সেল্স ম্যানেজার মোঃ মাহাবুবুর রহমান।
বক্তারা বলেন, বিনা প্রয়োজনে অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ক্ষতিকর বিষয়গুলোর সমন্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। এখনই যদি অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিক সেবন বন্ধ না করা যায় তাহলে সুস্থ্য জাতী হিসেবে আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করা সম্বভ হবে না। এ ব্যাপারে ঔষুধ ব্যবসায়ীদের বেশী করে সচেতন হতে হবে। এছাড়া পশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক এর ব্যবহার না করার জন্য পশু চিকিৎসকদের যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। মহামান্য হাইকোর্ট এর আদেশ মোতাবেক রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যাতিরেকে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো ব্যবসায়ী ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করেন তা ড্রাগ অ্যাক্ট ১৯৪০এর ২৭ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ।