এসএম মশিউর রহমান সরকার,বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি :
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে সমশের আলী নামে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধকে গভীর রাতে ঘর থেকে বের মাথায় কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
১ ডিসেম্বর বুধবার তিনটার সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের সাধুবান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃদ্ধ ওই এলাকার মৃত বসির মুন্সির ছেলে। সে সাধুবান্ধা পুকুর পারের গুচ্ছগ্রামে বসবাস করে আসছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বুধবার সকালে প্রতিবেশী খমির উদ্দীনের ছেলে রহিম উদ্দীনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধে জেরে দুপক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে হত্যাকাণ্ডের শিকার বৃদ্ধ সমশের আলীর ৬/৭ জন গুরুতর আহত হয়ে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এরই মধ্যে বুধবার গভীর রাতে রহিম উদ্দীন ও তার সাথে ৭/৮ জন লোক এসে সমশের আলীকে ঘর থেকে বের করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারান্দায় বের করার পর চিৎকার দিলে তার মাথায় কোপ মেরে পালিয়ে যায় রহিম উদ্দীন ও তার লোকজন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওই বৃদ্ধ।
নিহত বৃদ্ধের ছেলে ফজিল উদ্দীন বলেন, রাতে আমার মা হত্যাকারীদের চিনতে পেরেছেন। আমি তাদের চিকিৎসা কাজে আমি ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ছিলাম। রাতে খবর পেয়ে বাড়ীতে ছুটে এসেছি। এ ঘটনায় বাবাকে হত্যার বিচার চান তিনি।
তবে এমন ঘটনার জন্য পুলিশের অবহেলা দেখছেন দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহেল রানা। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ বুধবার সকালের ঘটনায় ব্যবস্থা নিলে রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতো না। মারধরের ঘটনা মানেই আইনশৃংখলার অবনতি। এখানে পুলিশ অভিযোগ দেয়নি বলে অজুহাত দেখিয়ে সময়ক্ষেপন করেছে। আমি নিজে ফোন করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করার পরেও কোন পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। আইনশৃংখলা সভায় জবাব চাইবেন বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম বলেন, চেয়ারম্যান অভিযোগ করতেই পারেন। জমি বিরোধের মারাপিটের ঘটনা পুলিশকে কেউ জানায়নি। রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার মরদেহ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এদিকে একই জেরে গত সেপ্টেম্বর মাসে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের মৎসজীবিলীগ নেতা শাকিল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগের দিন দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। পরের দিন সংর্ঘষ ভয়াবহ রুপ নেওয়ার কারণে দুপক্ষের সংঘর্ষে ভানোর ইউনিয়ন মৎসজীবিলীগ নেতা শাকিল আহমেদ হত্যা হয়। এ ঘটনায় পরে ভানোর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সহ ২০ জনকে আসামী করে মামলা করে শাকিলের বড় ভাই যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।