বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির রাশেদুল হক ননী বলেছেন, আমরা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ধারক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সমর্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হিসেবে পরিচয় দিতে আমরা গর্ববোধ করি। আমরা বৈষম্য ও বেকার সৃষ্টির শিক্ষা ও সমাজ ব্যবস্থা বদল, দুর্নীতি ও অপশাসনে শিক্ষার্থীদের জীবন ও মেধার অপচয় রোধ, বাংলাদেশ ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি বিরোধী ধর্মান্ধ রাজনীতি রুখে দেওয়ার লক্ষ্যে একটি ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার নিরন্তর প্রচেষ্টায় আমরা নিবেদিত। স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রান্ত হলেও বাংলাদেশ এখনও একটি সার্বজনীন গণমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা পায়নি। শিক্ষা খাতে বেড়েছে বৈষম্য। এজন সচেতন, বিবেকবান শিক্ষার্থী দেশের শিক্ষা ও সমাজের এই দুরবস্ত মেনে নিতে পারেন না। এই পরিবর্তনের জন্য লড়াই অনিবার্য।
৭ ডিসেম্বর বুধবার জাসদের অস্থায়ী কার্যালয়ে “আমাদের লক্ষ বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) দিনাজপুর জেলা শাখার আয়োজনে কর্মী সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সংসদের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মায়া রানী অভি’র সভাপতিত্বে কর্মশালায় উদ্বোধনীপর্বে সম্মানীত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সহিদুল্লাহ, সহ-সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বকুল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ। জাসদের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সহিদুল্লাহ বলেন, দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বহুগুন বেড়েছে কিন্তু শিক্ষার মান এবং ক্রমাবনতি ঘটেই চলছে। ডিগ্রীধারী শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে সংগ্রামের শপথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পতাকা তোলে সমবেত হতে হবে নেতাকর্মীদের।