শনিবার , ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ | ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিকে রুখে দিতে সাংস্কৃতিক চর্চার কোন বিকল্প নাই -আসাদুজ্জামান নুর এমপি

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ ৭:২৪ অপরাহ্ণ

বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি॥-
সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর এমপি বলেছেন, ‘জয় বাংলা’ একটি অসাম্প্রাদিয়ক শ্লোগান। যেই শ্লোগান দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু এখন বাংলাদেশে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি বিভিন্ন সময়ে মাথা চারা দিয়ে উঠছে। তাদের রুখে দিতে নতুন প্রজন্মকে সাহিত্য ও সংস্কৃতির শক্তি ছড়িয়ে দিতে হবে। যাতে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি তাদের গ্রাস করতে না পারে। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিকে রুখে দিতে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চার কোন বিকল্প নাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ফুলের বাগান। যেই বাগানে সকল ধরনের ফুল রয়েছে। অর্থাৎ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সকল ধর্মের মানুষ। যা একটি অসাম্প্রদায়িকতার নিদর্শন।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি ২০২৩) বিকেলে দিনাজপুর বীরগঞ্জ গোলাপগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে মাঠে আয়োজিত ‘শব্দশর’ সাহিত্য সংগঠনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন উপলক্ষে “শুদ্ধস্বরে শব্দশর” শ্লোগানে কবি, সাহিত্যিক ও গবেষকদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বর্তমান সমাজে একটি নির্যাতন শুরু হয়েছে। সেটি হলো জিপিএ-৫ নির্যাতন। এই জিপিএ-৫ নির্যাতন থেকে আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে হলে লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চায় সম্পৃক্ত করতে হবে। সেই সাথে শিশুদের বিনোদনের জন্য মোবাইল বা টেলিভিশন নয়, তাদের ছবি আঁকা, কবিতা আবৃত্তি শিখাতে হবে।
তিনি বলেন, সংস্কৃতি কর্মীদের সমাজে ব্যাপক দায়িত্ব রয়েছে। সমাজের অবক্ষয় কি কি কারণে হচ্ছে সেই কারণ গুলিও সংস্কৃতি কর্মীদের লক্ষ্য করতে হবে। আমরা ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হারিয়েছি, এরপর দেশ উল্টো পথে হেটেছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সেই দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করছেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীরা প্রতি মুহুর্তে বিভেদ সৃষ্টি করে, ধর্মীয় অপব্যাখ্যা দিয়ে, মৌলবাদের মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্থ করতে চেয়েছে। দূর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে আবার বাংলাদেশকে একটি অস্থির অবস্থার মধ্যে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা জঙ্গি তারা আমাদের ঘরেরই সন্তান। তারা কি বুঝে, কিসের লোভে এমন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালাচ্ছে আমরা তা জানার চেষ্টা করি না। শুধু আমরা এটাই বলতে পারি তারা বাঙালী সংস্কৃতির স্বাদ পায়নি, যদি পেত তাহলে তারা বিপথে যেতো না।


সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ‘শব্দশর’ সাহিত্য সংগঠনের সভাপতি কবি বাবুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শব্দশরের প্রধান উপদেষ্টা ও দিনাজপুর-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল।
এ সময় তিনি বলেন, কাটা তারের বেড়া দিয়ে গরু আটকানো যায়, মানুষ নয়। বাংলাদেশ-ভারতের কৃষ্টি, কালচার এক ও অভিন্ন। এটা কোন কাটা তারের বেড়ায় তা আলাদা করা যাবে না। কোন ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে যেমন অপরাধবোধ কাজ করে না। তেমনি সাহিত্যচর্চাকারীদের হৃদয়েও অপরাধবোধ কাজ করে না। একটি সুন্দর জীবনের জন্য সাহিত্য চর্চার বিকল্প নেই। কবি সাহিত্যিকরাই পারে কাটাতারের বেড়া ভেঙ্গে অসাম্প্রাদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সাহিত্যের একটি ভিন্ন শক্তি আছে। যেই শক্তি ব্যবহার করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনকে কিভাবে রাজনৈতিক আন্দোলনে পরিণত করে বাংলার জনগনকে একাত্ম করেছিলেন। তিনি বলেন, জন্ম নেবার পরে মনুষ্যত্ব, মানবিকতাকে বিকশিত করবার জন্য যে চর্চ্চাটি দরকার সেটিই হচ্ছে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চ্চা। যারা সত্যিকার অর্থে সংস্কৃতিককে লালন করেন তারা কখনো পাপ করতে পারেন না।
বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব মো. মমতাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোদাবক্স হোসেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ কলকাতার কবি ও কথা সাহিত্যিক দিলিপ রায়, কবি ও গবেষক এবং শব্দশর এর উপদেষ্টা ড. মাসুদুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শব্দশর এর সাধারণ সম্পাদক মো. লাল মিঞা।
এর আগে শব্দশর সাহিত্য সংকলন তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
আমন্ত্রিত ভারতীয় অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বালুরঘাটের কবি বিশ্বনাথ লাহা বঙ্গরত্ন, শিলিগুড়ি নর্থ বেঙ্গল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবি নিখিলেশ রায়, মালদাহ’র কবি পার্থসারথি ঝা, কলকাতার কবি স্বপন কুমার রায় সাহিত্যরত্ন, ইসলামপুরের কবি নিশিকান্ত সিনহা, কলকাতার ঢাকুরিয়ার কবি ও সেতার শিল্পী শ্রীমতি শিখা নাথ।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কবি ড. তারেক রেজা, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শরীফ শেখ। দিনাজপুরের কবি ও ছড়াকার অধ্যাপক জলিল আহমেদ, ডা জোবাইদুর রহিম, রংপুরের কবি ও অনুবাদক মোস্তফা তোফায়েল হোসেন, ঔপন্যাসিক লায়লা চৌধুরী, হাবিপ্রবির সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম, পঞ্চগড়ের গল্প ও প্রবন্ধকার শফিকুল ইসলাম, নীলফামারীর কবি ও সমাজকর্মী’র সৈয়দা রুখসানা জামান শানু, ঠাকুরগাঁওয়ের কবি মাহবুবা আখতার।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯ টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব মো. মমতাজ উদ্দিন। এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শব্দশর এর সিনিয়র সহ সভাপতি বাসব রায়। এরপর সকাল ১০ টায় স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি ও সাহিত্যিকগণ।
সঞ্চালনায় ছিলেন শব্দশর এর সিনিয়র সহ সভাপতি বিধান দত্ত এবং নির্বাহী সদস্য ফরিদা বেগম।
অনুষ্ঠানের আগে আগত অতিথিদের মধ্যে ক্রেষ্ট ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়। এছাড়াও আগত সকলকে বই উপহার প্রদান করা হয়।
পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভারতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার কবি ও সাহিত্যিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

ঠাকুরগাঁওয়ে রূপসী বাংলা ড্রিম সিটি লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটি প্লট ও ফ্লাট বিক্রির নামে প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে

খানসামায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

খানসামা উপজেলায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল পাচ্ছে ২৩ হাজার শিশু

রাণীশংকৈল পৌরসভা নির্বাচন প্রতিকে নয়, লড়াই হবে ব্যক্তি ইমেজে

দিনাজপুরে কর্মী সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে শহর জামায়াতের বিশাল মিছিল

বীরগঞ্জে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে ৪টি ইউনিয়নের গ্রামকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা

স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি বাবু নির্মল  রঞ্জন গুহ’র রোগমুক্তি কামনায় দোয়া

স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি বাবু নির্মল রঞ্জন গুহ’র রোগমুক্তি কামনায় দোয়া

পীরগঞ্জে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন প্রস্ততি সভা অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারি ঘর পাচ্ছেন আরো ২২’শ ৯৬টি গৃহহীন পরিবার

স্বাস্থ্যসহকারীদের কর্মবিরতি টিকা বঞ্চিত মা ও শিশুরা