ঠাকুরগাঁও: সাবেক তথ্য ও স¤প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ ২ জনের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জিয়া পরিবার ও তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে ঠাকুরগাঁও সদর আমলি আদালতে এই মামলার আবেদন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এনতাজুল হক।
এ মামলার আরেক আসামি হলেন- অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মুরাদ হাসানের সাক্ষাৎকার নেওয়া ইফটিউবার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ হেলাল।
ঠাকুরগাঁও আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল হালিম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘মামলার আবেদনের ওপর শুনানি হয়েছে। দন্ডবিধির ১৫৩-(ক), ৫০৫-(ক) ও ৫০৯ পেনাল কোড,১৮৬০ ধারায় এই মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালতের বিচারক এস.রমেশ কুমার ডাগা পরে আদেশ দেবেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর তথ্য প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ডা. মুরাদ হাসান ইউটিউবার নাহিদ হেলালকে এক সাক্ষাৎকারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দৌহিত্রী জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। তার বক্তব্য ও উপস্থাপকের আচরণ অশালীন, নারীবিদ্বেষী ও নারীর প্রতি অবমাননামূলক। তাদের সেই সাক্ষাৎকার ইউটিউব ও ফেসবুকের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। এর মাধ্যমে জাইমা রহমানসহ জিয়া পরিবার ও নারী সমাজের জন্য অপমানজনক। এ জন্য শত্রুতা চরিতার্থ করতে নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ ও অবমাননাকর কাজ করার অপরাধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার জাইমা উপমহাদেশের প্রখ্যাত একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন। ফলে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসামীদ্বয় তার বিরুদ্ধে মানহানিকর, অপমানজনক বক্তব্যও ভিডিও ছেড়ে দিয়ে গর্হিত অপরাধ করেছেন।
মামলার বাদী অ্যাড. এনতাজুল হক বলেন, ‘আদালতে মামলার আবেদনের শুনানি হয়েছে। বিচারক আদেশ পরে দেবেন। এই মামলায় তিন জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। মামলার প্রমাণ হিসেবে ওই সাক্ষাতকারের ভিডিও ফুটেজের সিডি আদালতে দাখিল করা হয়েছে।