তেভাগা ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ কমরেড গুরুদাস তালুকদারের (১৮৯৬-১৯৮০) ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে দিনাজপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
কমরেড গুরুদাস তালুকদার স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে ভাষাসংগ্রামী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক গুরুদাস তালুকদারের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, তেভাগা পরিষদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী, নাট্য সমিতি, কৃষক সমিতি, মহিলা পরিষদ, যুব ইউনিয়ন, প্রগতি লেখক সংঘ, খেলাঘর এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
এরপর কমরেড গুরুদাস তালুকদার স্মৃতি পরিষদের আহবায়ক রঞ্জন কুণ্ডুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য নুরুল মতিন সৈকতের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন তেভাগা পরিষদের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, সিপিবির সাবেক সভাপতিমন্ডলির সদস্য মোহাম্মদ আলতাফ হোসাইন, সিপিবি জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট মেহেরুল ইসলাম, নীলফামারী জেলা সিপিবির সাবেক সভাপতি শ্রীদাম দাস, নাট্য সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রহমান রেজু, প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি অধ্যাপক জলিল আহমেদ, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য মোশাররফ হোসেন নান্নু, উদীচীর সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুল ইসলাম বাবুল, মহিলা পরিষদের নেত্রী রতœা মৈত্র, কৃষক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুলতান কামাল উদ্দীন বাচ্চু, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক প্রমথেশ শীল এবং যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমৃত রায়।
বক্তারা কমরেড গুরুদাস তালুকদারের স্মৃতিরক্ষায় দিনাজপুরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি ভাস্কর্য নির্মাণের দাবি করেন। এছাড়া দিনাজপুরে একটি পাঠাগার স্থাপন এবং একটি প্রতিষ্ঠানের নামকরণেরও দাবি করেন বক্তারা।
আলোচনা সভাশেষে ফুলতলা শ্মশানে দিনাজপুর নাট্য সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সদস্য মঞ্চাভিনেতা গুরুদাস তালুকদার-স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
গুরুদাস তালুকদার একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ও কৃষকনেতা। তাঁর জন্ম রংপুরের পীরগাছার মন্থনা এস্টেটের জমিদার পরিবারে ১৮৯৬ সালে। ১৯৮০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জীবনাবসান ঘটে অকৃতদার বর্ষীয়ান আমৃত্যু এই বিপ্লবীর।