বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: আবারও জেগে বসেছে শীত,কাপছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল বস্ত্রহীন মানুষ।সারাদেশে হাড় কাঁপানো শীতের কাঁপনেন মধ্যে আরেকটি তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তথ্যমতে, কয়েকদিনের মধ্যে দেশে বাড়বে শীতের কাঁপন। এতে কমে যেতে পারে রাত ও দিনের তাপমাত্রা। বর্তমানে হাড় কাপানো হিমেল বাতাসে বীরগঞ্জ উপজেলার পৌরশহর, শিবরামপুর, পলাশবাড়ী, শতগ্রাম,পাল্টাপুর,সুজালপুর,নিজপাড়া,মোহাম্মদপুর,ভোগনগর,মোহনপুর ও মরিচাসহ ১১টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রচন্ড শীত জেঁকে বসছে। এতে জবুথবু হয়ে পড়েছে পুরো উপজেলাবাসী। থেমে থেমে হিমেল হাওয়া আর শৈত্যপ্রবাহে বিশেষ করে খেটে খাওয়া হত দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষকে কাহিল করে দিয়েছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন- কুয়াশায় অবস্থা নাজেহাল পরিস্থিতি। মানুষ ঘর থেকে বাহির হতে পারছে না। শীত নিবারণে গরম কাপরের দোকানগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাধারণত দিনের বেলায় সূর্যের দেখা পাওয়া বেশ দুস্কর হয়ে উঠেছে। এতে বিশেষ করে দিনমজুর, রিকশা,ভ্যানচালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কনকনে শীতে বৃদ্ধ ও শিশুরা ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ঘন-কুয়াশার কারণে মহাসড়কে দুরপালার যানবাহনগুলো দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতে ছিন্নমূল মানুষগুলোকে বিভিন্ন স্থানে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায়। এছাড়া ও শীতে প্রভাবেআলু,বেগুন,মরিচ,সরিষাসহ বোরো ধানের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষক -কৃষাণীরা। বীরগঞ্জ – কাহারোলের স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, উপজেলায় শীতবস্ত্র -কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: ছানাউলাহ জানান, প্রথম পর্যায়ে ৫০৬০ টি কম্বল বিতরন করা হয়েছে এবং ৬ লক্ষ টাকার কম্বল ক্রয় ও বিতরনের কাজ চলছে। এছাড়াও কুয়েত স্যোসাইটি ফর রিলিফ বাংলাদেশ সহ স্থানীয় বিভিন্ন সেবামূলক সংগঠনগুলো গরীব অসহায় শীতার্তদের কম্বল বিতরণ চালিয়ে যাচ্ছে।