খুরশিদ আলম শাওন,রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:- ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকবৃন্দের ও বাংলাদেশ অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির শ্রমিকবৃন্দের মধ্যে সমাজ কল্যাণের টোল আদায়কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ উত্তেজনা থেকে গত বুধবার(১মার্চ) দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। এতে দুই পক্ষের দুই জন আহত হয়েছে। সংঘাতের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে অটোবাইক সোসাইটির নেতারা, মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ১৬ জন নেতার নাম উল্লেখ্য করে ৪০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে রাণীশংকৈল থানায় লিখিত এজাহার জমা দিয়েছেন। এদিকে থানায় এজাহার এবং অনেতিকভাবে মোটরপরিবহনের দীর্ঘদিন ধরে নিয়ন্ত্রনে থাকা অটোবাইক সোসাইটির ব্যানারে সমাজকল্যাণের টোল আদায় বন্ধের দাবীতে রাণীশংকৈল উপজেলা মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল পৌরশহরের বন্দর ইদগাহ বাজারে অবস্থিত সংগঠনের নিজস্ব সভাকক্ষে সংগঠনের সভাপতি সামসুল হকের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন,সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, জাতীয় পার্টির নেতা আবু তাহের, সংগঠনের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল কুদ্দুস খাঁ, পরিমল সরকার,যোগাগযোগ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সাবেক নেতা জাফর ইসলাম,মাসুদ রানা,ইমাম আলীসহ সাবেক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ সদস্যবৃন্দ। সভায় বক্তারা বলেন,মোটরপরিবহনের দীর্ঘদিনের নিয়ন্ত্রণে থাকা অটোবাইক সোসাইটির পৃথক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে অটোবাইকের কেন্দ্রীয় কমিটি। তারা বলেন কমিটির মেয়াদ থাকতেই পূনরায় কমিটির অনুমোদন নেওয়ার সুযোগ না দিয়ে একটি কুচক্রি মহলের সহায়তায় ফরহাদ ও জামাল নামে দুই ব্যক্তি একটি বির্তক কমিটি অনুমোদন নিয়ে টোল আদায় শুরু করেছে যা সম্পূর্ণ অনৈতিক। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে জামাল, ফরহাদ গংরা নিজেরাই নিজেদের জখম করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মোটর পরিবহনের নেতাদের বিপদে ফেলার জন্য। বক্তারা বলেন,মোটর পরিবহন সূসংগঠিত সংগঠন, কোন কুচক্রি মহলের কাছে মাথা নত করবে না। স্থানীয় উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সইদুল হক ও পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার পযর্ন্ত সময় চেয়েছেন। এরমধ্যেই দুই পক্ষকে নিয়ে তারা বিষয়টি দ্রুত সমাধান দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। যদি বসে সমাধান না হয় তাহলে রাজপথেই আন্দোলন করে সমস্যা সমাধান করে নেওয়া হবে বলে সিদ্বান্ত নেন মোটরপরিবহন শ্রমিকের নেতারা। বাংলাদেশ অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটির রাণীশংকৈল উপজেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক জামালউদ্দীন বলেন, ২০১৭ সালে এ কমিটির অনুমোদন নিয়েছি। তখনও তারা সংগঠন পরিচালনা করতে দেয়নি। এবার আবার অনুমোদন নিয়েছি। আবারো তারা সংগঠন পরিচালনায় বাধা দিয়ে তাকে মারপিট দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। রাণীশংকৈল পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আ’লীগের সভাপতির কাছে ছিল। তিনি তাকে বিষয়টি নিয়ে বসার আয়োজন করতে বলেছিল। এরমধ্যে বিভিন্ন ঝামেলার কারণে বসা হয়নি।খুব শিগগির বসে দুই পক্ষের সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। রাণীশংকৈল থানার ওসি গুলফামুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিরসনের জন্য উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সইদুল হক ও পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান দায়িত্ব নিয়েছেন। তারা বিষয়টি দেখছেন।