বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট
ইউনিয়নের আউলিয়ার ঘাটে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর নৌকাডুবির ঘটনায় ৭১
জনের প্রাণহানি হয়। এই ঘটনায় গত ফেব্রæয়ারী মাসের ২৭ তারিখে ঢাকার বিজ্ঞ
স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ঘাট ইজারাদার ও দুইজন মাঝি সহ
মোট তিন জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রানালয়। এই
মামলায় ঘাটের ইজারাদার আব্দুল জব্বার ও নৌকার মাঝি বাচ্চু মিয়াকে গত
মঙ্গলবার মাড়েয়া এলাকা থেকে বোদা থানা পুলিশ আটক করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত
আরেক আসামি রবিউল এখনও পলাতক রয়েছে। পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা
যায়, করতোয়া নদীর আউলিয়ার ঘাটের নৌকাডুবির ঘটনায় জেলা প্রশাসন,
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জেলা
প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনে, নৌকাডুবির কারণ হিসেবে ইজারাদার আব্দুল
জব্বারের গাফিলতিসহ নৌকার অদক্ষ মাঝি বাচ্চু মিয়া এবং রবিউল ইসলামকে
দায়ী করা হয়। এ ছাড়া ধর্মীয় কুসংস্কার, অসচেতনতা, অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই,
নৌকায় ত্রæটিসহ আরও কিছু কারণ চিহ্নিত করা হয় প্রতিবেদনে। পুলিশ ও ফায়ার
সার্ভিসের তদন্ত প্রতিবেদনেও প্রায় একই বিষয় উঠে আসে। এই তিন তদন্ত
প্রতিবেদন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের কাছে পাঠানো হয়। এরপরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ ফেব্রæয়ারি নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক সফিকুর
রহমান ঘাটের ইজারাদার আব্দুল জব্বার, মাঝি বাচ্চু মিয়া এবং রবিউল ইসলামের
বিরুদ্ধে নৌ আদালতে মামলা করেন। এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বোদা
থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হলে গত মঙ্গলবার ইজারাদার আব্দুল জব্বার ও
মাঝি বাচ্চু মিয়াকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ
সুজয় কুমার রায় জানান, নৌকা ডুবির ঘটনায় মামলা দায়ের পর গ্রেপ্তারী
পরোয়ানী থানায় আসলে ২ জন আসামীকে আটক করে গত বুধবার জেল হাজতে
প্রেরন করা হয়েছে। আরো একজন পলাতক আসামীকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে বোদা উপজেলার বোদেশ^রী মন্দিরে হিন্দু স¤প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব
মহালয়ার অনুষ্টানে যাওয়ার সময় করতোয়া নদীর আউলিয়ার ঘাটে নৌকাডুবিতে
৭১ জনের প্রাণহানির ঘটে।