বুধবার , ২৯ মার্চ ২০২৩ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বীরগঞ্জে লিচুর ফুল থেকে মধু সংগ্রহে লাভবান চাষিরা

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
মার্চ ২৯, ২০২৩ ৭:১৯ অপরাহ্ণ

বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন লিচু বাগানে মৌচাষিরা মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেইসাথে নতুন করে এই জেলায় পরিচিতি পেয়েছে লিচুর ফুল থেকে মধু সংগ্রহের আধুনিক পদ্ধতি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মধু সংগ্রহ করতে প্রায় ১শত জন মৌয়াল এসেছেন বিভিন্ন লিচু বাগানে। সারিবদ্ধ বাগানের নিচে মৌমাছির মৌ-বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা।
এসব বাগানের লিচু গাছে ফুল আসার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৌচাষিরা এসেছেন মধু সংগ্রহ করতে। গত বছর জেলার বিভিন্ন লিচু বাগান থেকে মধু সংগ্রহ হয় ১০০ মেট্রিকটন। যা এ বছরও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, লিচু গাছের নিচে সারি সারি সাজিয়ে রাখা হয়েছে কাঠের তৈরি কৃত্রিম মৌ-বাক্স। সেখান থেকে দলে দলে মৌমাছি বসছে লিচুর মুকুলে। মধু জমা করছে বাক্সে। প্রতি সপ্তাহে সেই বাক্স থেকে মধু সংগ্রহ করছেন মৌচাষিরা। আবহাওয়া অনুকূল ভালো থাকায় মধু সংগ্রহ হচ্ছে ভালো।উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ‘মৌ-বাক্স’ বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছেন চাষিরা। মার্চের প্রথম থেকে এভাবে মধু
সংগ্রহ করছেন তারা। সপ্তাহে এসব লিচু বাগান থেকে ১২ থেকে ১৫ মণ মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব মধু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা দরে। এই হিসাবে প্রতি সপ্তাহে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মধু সংগ্রহ হচ্ছে।
বিভিন্ন বাগানে লিচু গাছের নিচে গোলাকার সারিবদ্ধ বাক্স বসিয়ে রেখেছেন মৌয়ালরা।
উপজেলার ৪নং পাল্টাপুর ইউনিয়নে ঢাকা থেকে মধু সংগ্রহ করতে এসেছেন মোঃ রফিকুজ্জামান খান। তিনি ১৬০ মৌমাছির বাক্স নিয়ে এসেছেন মধু সংগ্রহ করতে। মৌচাষি পিন্টুর সঙ্গে আছেন আরও তিনজন। পিন্টু বলেন, আমি বিসিকের দ্রুত ও কুটির শিল্পে মৌচাষ পালনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সিজনালি মধু সংগ্রহ করে থাকি। এবার তিনি এই ইউনিয়নে কাজল গ্রামে এসেছেন মধু সংগ্রহ করতে কাজল সরকার পাড়ার একটি লিচু বাগানে ৩০০ বাক্স নিয়ে মধু সংগ্রহ করতে এসেছেন। প্রতি সাতদিন পর পর ৩০০ বাক্সে এক টন মধু সংগ্রহ করতে পারেন।
পিন্টুর সহকর্মী জসিম উদ্দিন বলেন, “আমাদের এখানে ৮ জনের মত কাজ করি। মধু সংগ্রহের মাধ্যমে এই ৮ জন লোকের যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় তেমনই মধু সংগ্রহে বেশ লাভবান তারা।” প্রতি কেজি মধু সংগ্রহকালীন তারা ৪৫০/৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেন। যা বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে বিক্রি করেন ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা প্রতি কেজি দরে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর আমরা মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি ৫০ মেট্রিকটন। যা বর্তমানে ২৮ মেট্রিকটন উৎপাদন হয়েছে। বাকি কয়েকদিনে আরও ২২ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহ হবে বলেও তিনি মনে করছেন।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

রাণীশংকৈলে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

বোদায় প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত

বোদায় প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত

পীরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুনার্মেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

বোচাগঞ্জের জহুরা ইনডাস্ট্রিতে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রস্তুত রয়েছে দুম্বা

ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াতে জন্ম নেয়া আলামিনের স্বপ্ন পূরণ

ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা মোকাবেলায় অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা ।

ঠাকুরগাঁওয়ে সংখ্যালঘুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মুঠোফোনে ভিডিও ধারনের সময় আটক-১ জন

ঠাকুরগাঁওয়ে সংখ্যালঘুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মুঠোফোনে ভিডিও ধারনের সময় আটক-১ জন

রাণীশংকৈলে ইএসডি’র উদ্যোগে সাংবাদিক মত বিনিময় সভা

বীরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী বাছাই সভা অনুষ্ঠিত

বীরগঞ্জে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্ততিমুলক সভা অনুষ্ঠিত