রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:- তিন ফসলি জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজে এসিল্যান্ডের নির্দেশে বাধা প্রদান করতে যাওযায় ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) কার্যালয়ে অফিস সহায়ক রাজিউল ইসলাম রাজুকে লাঞ্চিত ও মারপিট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন তাজুর কাঠ ফার্মেসী ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জাকারিয়া,জাকির,মাসুদ ও বহুতল ভবন নির্মাণকারী ইয়াদগিরের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের সন্ধারই গ্রামের গুগুঢাড়া পাড়ায় রাণীশংকৈল নেকমরদ-মহাসড়ক ঘেষাঁ তিন ফসলি জমিতে প্রায় ২০ফিট মাটি ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছিলেন হরিপুর উপজেলার গেদুড়া এলাকার ইয়াদগির নামক এক ব্যক্তি। ফসলি জমিতে হঠাৎ করেই মাটি ভরাট করে বহুতুল ভবন নির্মাণ কাজটি আইন সম্মত নয় দাবী করে ওই এলাকার আব্দুর রশিদ ও আশরাফুল আলম নামে দুজন ব্যক্তি গত ২০ মার্চ ২০২৩ তারিখে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি বরাবরে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবী জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের পেক্ষিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ইন্দ্রজিত সাহা বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ আপাতত বন্ধের জন্য নির্দেশ দেন। তবে এ নির্দেশকে অমান্য করে কাজ চলমান রেখেছিলেন ওই বহুতল ভবন নির্মাণকারী ইয়াদগির।
কাজ চলমান রাখায় অভিযোগ কারীদের আবারো অভিযোগের পেক্ষিতে বৃহস্পতিবার চলমান কাজটি বন্ধ করতে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার অফিসের অফিস সহায়ক রাজিউল ইসলাম রাজু, জহিরুল ইসলাম স্বপন ও মামুন। তারা সেখানে কাজটি বন্ধ করে দিয়ে চলে আসেন। পরে অফিস সহায়ক রাজিউল ইসলাম রাজুকে লোক মারফত মুঠোফোনে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন তাজু ফার্মেসীতে ডেকে নিয়ে অতর্কিত লাঞ্চিত ও মারপিট দেন ইয়াদগিরসহ তার ভাই জাকারিয়া,জাকির, মাসদু ।
মারপিটের শিকার উপজেলা ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক রাজিউল ইসলাম রাজু বলেন, স্যারের নির্দেশে ইয়াদগিরের চলমান কাজ বন্ধ করে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মসজিদে নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর। তাজু ফার্মেসীর দোকানে গিয়ে বসার পরই ইয়াদগিরসহ তার ভাইয়েরা কোথা থেকে যেন সেখানে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিতে থাকে। এক পযার্য়ে মারপিট দিতে শুরু করে। তাৎক্ষনিক ঘটনাটি এসিল্যান্ড স্যারকে জানালে তিনি গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে।
ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা জাহেরুল ইসলাম বলেন, সরকারী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অফিস সহকারী রাজু লাঞ্চিত ও মারপিটের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দুষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।
অভিযোগকারী আশরাফুল আলম ও আব্দুর রশিদ বলেন, তিন ফসলি জমিতে মাটি ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ করলে আবাদী জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন তিন ফসলি জমিতে কোন স্থাপনা করা যাবে না। তাই এলাকার স্বার্থে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ইন্দ্রজিত সাহার বক্তব্য নিতে একাধিকবার তার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি তাতে সাড়া দেননি।