জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বাংলা নববর্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন,পহেলা বৈশাখ মানেই সার্বজনীন এক উৎসবের নাম। অভূতপূর্ব সাংস্কৃতিক জাগরণের দিন পহেলা বৈশাখ। পুরনো দিনের শোক-তাপ-বেদনা-অপ্রাপ্তি-আক্ষেপ ভুলে অপার সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণার দিন। বাঙালির আত্মপরিচয় ও শেকড়ের সন্ধান মেলে বৈশাখের উৎসব উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে। পহেলা বৈশাখের দিকে তাকালে বাঙালি তাঁর মুখচ্ছবি দেখতে পায়।
তিনি বলেন, ৭১এর পরাজিত শক্তিরা এখনও তৎপর। তারা বিভিন্ন সময়ে ষড়যন্ত্র করছে। যাতে বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করা যায়। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে তারা থামিয়ে দিতে চায়। তাদের প্রতিহত করতে নতুন প্রজন্মকে বাঙালির চেতনা শেখাতে হবে। বাঙালিয়ানাকে জাগ্রত রেখেই আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের চেতনাকে সানিত করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করে সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মান করতে হবে।
শুক্রবার পহেলা বৈশাখ ১৪৩০উপলক্ষে দিনাজপুর শিশু একাডেমী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বৈশাখী উৎসব পরিষদের সহযোগিতায় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি এসব কথা বলেন।
হুইপ আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা ভাষা ও বাংলার সং®কৃতিকে প্রতিষ্ঠিত করতেই স্বাধীনতা, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকার জন্য যৌবনের চৌদ্দটি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। দু’বার ফাঁসির মঞ্চে গেছেন। সেই স্বাধীন বাংলাদেশের বাঙ্গালী জাতি পৃথিবীর বুকে আজ মাথা উচুঁ করে দাড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। বাঙ্গালী জাতির এই প্রাণের উৎসবকে আরও প্রাণানান্তর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা নববর্ষে উৎসব ভাতা প্রদান করেছেন।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপ-সচিব মোরার্জি দেশাই বর্মন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দেবাশীষ চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জয়নুল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ মমিনুল করিম, দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডাঃ বোরহান উল ইসলাম সিদ্দিকীজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইমদাদ সরকার, ডিডি এলজি মোঃ মোখলেছুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বাবলু, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তারিকুন বেগম লাবুন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জেলা শাখার সভাপতি সুলতান কামাল উদ্দীন বাচ্চু প্রমুখ।
এর আগে পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ উপলক্ষে দিনাজপুর একাডেমী চত্বরে জেলা প্রশাসন ও বৈশাখী উৎসব পরিষদের আয়োজনে প্রভাতী অনুষ্ঠান হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ।
প্রভাতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৈশাখী উৎসব পরিষদ দিনাজপুরের আহবায়ক মো. সফিকুল হক ছুটু ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব সুলতান কামাল উদ্দিন বাচ্চুসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
বৈশাখের প্রভাতী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট দিনাজপুর জেলা শাখা। সহযোগিতায় ছিলেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি।