বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় বাড়ছে লোডশেডিংয়ের মাত্রা। মাথার ওপর প্রখর সূর্যের তাপ। প্রতিদিনই তাপমাত্রা ৩৭-৪০ ডিগ্রিতে উঠানামা করছে। গুমোট পরিবেশ আর ভ্যাপসা গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিতে পড়েছে এর বিরূপ প্রভাব। বিদ্যুৎবিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় নগণ্য পরিমাণে বিদ্যুৎ পাওয়ায় তা বিতরণে হিমশীম খাচ্ছেন তারাও। গড়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৬৫ শতাংশ পরিমাণ বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। প্রচণ্ড গরম ও লোডশেডিং এর কারণে বেলা ১১টা পর্যন্ত জনশূন্য হয়ে পড়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের কেনাকাটাও বিঘ্নিত হচ্ছে। কেউ কেউ একটু উঞ্চতা পেতে গাছ তলায় অবস্থান নিতে দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ ফেইসবুকে বিদ্যুতের অসহনীয় এই লোডশেডিং নিয়ে ক্ষুব্ধ মতামত দিচ্ছেন। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, তীব্র লোডশেডিংয়ে উপজেলার চলতি রবি মৌসুমে বোরো ধানের জমিতে সেচকার্য বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করতে পারবে না। হিমাগারের আলুবীজ সংরক্ষণেও দেখা দিয়েছে শঙ্কা। উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের জাহিদ হাসান জানান, ‘এই এলাকায় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে আমাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। কয়েকদিন যাবত ইফতার, তারাবী ও সাহরির সময় বিদ্যুৎ থাকছেই না। বিদ্যুৎ কখনো দশ মিনিট, কখনো আধা ঘণ্টা থেকে চলে গেলে আবার দেড়-দুই ঘণ্টা পরে আসে। এভাবে মানুষ বাঁচতে পারে না।’