চিরিরবন্দর প্রতিনিধি \ দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের আমতলী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মঞ্জুরুল ইসলাম (২২) নামে এক বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের কামারপাড়া সীমান্ত পিলার ৩০৫(৫/৬) এর সন্নিকটে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম (২২) চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের কামারপাড়া এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায় দিনাজপুর জেলা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মেহেদি হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ জিন্নাহ আল মামুন, চিরিরবন্দর (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমশিনার (ভূমি) রুনাল্ট চাকমা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর এ কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, মঞ্জুরুল ইসলামসহ কয়েকজন মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে আমতলী সীমান্তের ৩০৫(৫/৬)নং পিলারের সন্নিকটে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে সীমান্তের কাছাকাছি স্থানে তাকে গুলি করা হয়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজিবির সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে।
স্বজনরা জানায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মোবাইলে বাড়ী থেকে তাকে ডেকে নিয় যাওয়া পর আর বাসায় ফিরে আসেনি। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সীমান্তের কাছে গুলিবিদ্ধ মঞ্জুরুল ইসলামের মরদেহ পাওয়া যায়।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের শরীরে চারটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের পরে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তবে চোরাকারবারি কোনো দলের সঙ্গে তাঁর যোগসাজশ আছে। বুধবার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে বিজিবির ২৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আলমগীর কবির মুঠোফোনে জানান, মঞ্জুরুল ইসলাম বিএসএফএর গুলিতে নিহত হয়েছে। সীমান্ত হত্যার বিষয়ে তাক্ষনিকভাবে বিএসএফের কাছে এর প্রতিবাদ এবং সকালে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।