সোমবার , ২২ মে ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তেঁতুলিয়া সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে হত্যার ৯ মাস পর মরদেহ ফেরত দিল ভারত

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
মে ২২, ২০২৩ ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ

পঞ্চগড় ও তেঁতুলিয়া প্রতিনিধি \ চোর সন্দেহে সালাম (৩৫) নামের এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার দীর্ঘ ৯ মাস পর মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী সীমান্তের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে মরদেহটি দেশে আনা হয়। প্রথমে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ গ্রহণ করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সদর থানা পুলিশকে দেয়ার পর রাতেই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গতকাল রোববার সকালে মরদেহের জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহত সালাম পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের কাহারপাড়া এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, নিহত যুবক সালাম কয়েকজন যুবকের সঙ্গে গত বছরের ২৩ আগস্ট রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজগঞ্জ বøকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার চাউলহাটি সংলগ্ন বড়–য়াপাড়া গ্রামে প্রবেশ করলে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়। এর পর ভারতীয় পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহটি একটি হাসপাতালের হিমঘরে রেখে দেয়। সালামের মরদেহ দেশে আনার জন্য ঘটনার পর থেকে প্রশাসনের সহায়তায় উভয় দেশের হাই কমিশন ও মানবাধিকার কর্মীদের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে যোগাযোগ করা হয়। প্রায় ৯ মাস পর ভারতীয় পুলিশ তাদের সকল প্রক্রিয়া শেষে শনিবার সন্ধায় মরদেহ বাংলাদেশে প্রেরণ করে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে মরদেহ ভারতে আটক রাখার পাশাপাশি নির্মম হত্যাকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা। একই সাথে সরাসরি হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। সালামের বড় ভাই আলিম হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে ছোট ভাইয়ের মরদেহ নিতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করি। সকলেই অপেক্ষায় ছিলাম কবে তার মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হবে। দীর্ঘ ৯ মাস পর ভারতের সাড়া পেয়ে আমি একজন ইউপি সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে গত ১৬ মে ভারতে যাই ছোট ভাইয়ের মরদেহ দেশে আনার জন্য। সদর উপজেলার সাতমেরা ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগসহ হাইকমিশনে যোগাযোগ করে আসছিলাম। অবশেষে ৯ মাস পর মরদেহটি প্রশাসনের সহায়তায় দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা মরদেহ ফেরত আনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ পাওয়ার পর সকল আইনি ব্যবস্থা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত