ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি\ ক্ষতিপুরনের দাবীতে কৃষি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটির ব্যানারে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান করেছেন পার্বতিপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি সংলগ্ন বাঁশপুকুর মৌজার কাজিপাড়া অধিনস্থ ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীরা।
রোববার (২৪নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় পার্বতিপুর উপজেলা পরিষদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে ব্যানার ফেষ্টুন হাতে দাড়ীয়ে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করেন তারা। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর দাবী সম্মলিত একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীরা।
কৃষি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটির সভাপতি মাহমুদুন নবী সোহান এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি মাহমুদুন নবী মিলন, সাধারণ সম্পাদক সালমান মাহমুদ তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ, দপ্তর সম্পাদক রতন মাহমুদ, সদস্য আবু তাহের প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সিসমিক টেস্ট এর কারণে ঘরবাড়ী ফেটে গেলে খনি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দেন। ২০২৪ সালেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার লক্ষে পূরনায় ৮টি মৌজা সার্ভে করা হয়। ইতিমধ্যে সার্ভেকৃত সেসব মৌজার চেক প্রদান করা হলেও বাঁশপুকুর ও গোপালপাড়া মৌজার আংশিক চেক প্রদান করা হয়েছে। তালিকা ভূক্ত অবশিষ্ট ক্ষতিগ্রস্থদের এখন পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন খনি কর্তৃপক্ষ। বাঁশপুকুর কাজীপাড়া গ্রামের ফাটল বাড়ী গুলোর ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না। অথচ এই এলাকার মানুষের অফুরন্ত সম্পদের ক্ষতি হলেও আমাদের দেয়া জমির নিচ থেকে যে পরিমান কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে তা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। আমাদের ন্যায্য দাবীর প্রতি খনি কর্তৃপক্ষ কোন নজর দিচ্ছেন না। এই অঞ্চলের মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা না হলে আমরা বৃহত্ত¡র আন্দোলন গড়ে তুলব।
পার্ববতিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. ফাতেমা খাতুন বলেন, ইতিপুর্বে কয়লাখনির এমডির সাথে বিভিন্ন গ্রামের ক্ষতিপুরনের বিষয়ে আমার কথা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২টি গ্রামের প্রতিনিধি পক্ষের সাথেও আমরা একটা বৈঠক করেছি, কথা বলেছি। তখন বাঁপুকুর মৌজার বিষয়টি ওখানে ছিল না, গ্রামবাসীরা আমাকে বলল আমি জানলাম। ডিসি স্যার এবং কয়লাখনির এমডির সাথে কথা বলে যতুটু সম্ভব তাদের বিষয় গুলো দেখে সার্ভের মাধ্যমে তারা যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে, তারা যেন ক্ষতিপুরন পায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কয়লা খনির এমডি মহদয়কে বলল।
বিষয়টি নিয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সাথে কথা বলতে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি ফোন কল গ্রহণ করেননি।