দিনাজপুরে হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ২০হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ আদেশ দেন।
হত্যা মামলার ২৫বছর ৯মাস ২৬দিন পর এ রায় ঘোষণা করা হলো। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ শুকদেবপুর গ্রামের আফজাল হোসেন ও উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ এবং উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের কাচুয়া শাহ ওরয়ে মখা শাহর ছেলে শামশুল ওরফে শামসুল হক।
মামলার বাদী আরজিনা বেওয়া এজাহারে উল্লেখ করেন,তার স্বামী তজিমুদ্দিন ১৯৯৭ সালের ৩১জুলাই কারেন্টহাটে সামসুদ্দিনের মিলে পাহারা দেওয়ার জন্য যান। এরপর তিনি নিখোঁজ হন। ৩ আগস্ট বাড়ির অদুরে দামুদার পুকুরে তজিমুদ্দিনের মরদেহ পাওয়া যায়।
এঘটনায় স্ত্রী আরজিনা বেওয়া ওই বছরের ৬আগস্ট চিরিরবন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাত জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলার তদন্ত শেষে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দেয়। এরমধ্যে একজন আসামির মৃত্যুর কারণে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া আসামি আব্দুল কাফির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাকে খালাস দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট হাসনে ইমাম নয়ন ও মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল এবং আসামি পক্ষে পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ।