দিনাজপুরে গণতন্ত্র মঞ্চের রোডমার্চ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা-দিনাজপুর রোডমার্চের অংশ হিসেবে সরকারের পদত্যাগ, অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারসহ ১৪দফা দাবীতে দিনাজপুরে এই রোড মার্চ সমাবেশের আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ দিনাজপুর জেলা কমিটি।
বুধবার বেলা ১১টায় স্থানীয় লোকভবন মাঠে অনুষ্ঠিত নাগরিক ঐক্য দিনাজপুর জেলা কমিটির সমন্বয়ক সৈয়দ এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে গণতন্ত্র মঞ্চের রোড মার্চ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড.হাসনাত কাইয়ূম, ভাষানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়োরী।
এছাড়াও সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি দিনাজপুর শাখার সভাপতি এ্যাড. গোলাম রব্বানী, নাগরিক ঐক্য জেলা কমিটির নেতা শরাফত হোসেন প্রমূখ।
রোড মার্চ সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশে মানুষ আজ ভয়াবহ অবস্থায় আছে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশকে বিপর্যয়ের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। নাগরিকদের জীবন দূর্বিসহ অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতে চায়।
তিনি আরও বলেন, দেশের শান্তি চাইলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার পক্ষে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। দেশকে রক্ষা করতে হলে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষ তার অধিকারের কথা বললে সেটা যদি আওযামী লীগ বিরোধী হয, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বানিয়ে দেওয়া হয। বিভিন্নভাবে সরকার দেশের জনগণকে বিভক্তির চেষ্টা করছে। ভোট হোক বা না হোক, তারাই ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকতে চায। কারণ, একমাত্র তারাই নাকি দেশের উন্নযনের অধিকারী।
তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে ক্ষমতায আসার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি পাওযার চান আর দেশের উন্নযন করতে চান। ওই পাওযার নেওয়া আর উন্নযন করতে চাওযার উদ্দেশ্য ১৪ বছরে দেশের জনগণ বুঝতে পেরেছে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বযকারী বলেন, এই সরকারের সব দুর্নীতি দেশের মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। এ সরকার নাকি বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করেছেন। কয়েকদিন আগেও প্রধানমন্ত্রী বললেন, দেশে বিদ্যুতের সমস্যা নেই। তাহলে কেবল ইউক্রেন যুদ্ধ আর করোনা এসে সরকারের উন্নযনের বেলুন ফুটো করে দিয়েছে। এই উন্নযন তো টেকসই উন্নযন না। আওযামী লীগ আগে বিএনপিকে বলতো যে, খাম্বা আছে বিদ্যুৎ নেই! এখন আমরা বলি, কারখানা আছে কিন্তু জ্বালানি নাই।
শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জোনায়েদ সাকি বলেন, অচিরেই বিএনপিসহ দেশপ্রেমিক দলগুলোকে সাথে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন,এই সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুতের পরিবর্তে ঘরে ঘরে লোডশেডিং দিয়েছে। যারা বিদ্যুৎ দিতে পারে না তারা দেশের উন্নয়ন করবে কিভাবে ? দেশের মানুষ ২০১৪ সালের মত তামাশার নির্বাচন আর সহ্য করবে না।