বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: সূর্যের আলোর প্রখরতা, তীব্র দাবদাহে মানুষ আতিষ্ট হয়ে উঠেছে। হয়েছে আবহাওয়ার পালাবদল। তীব্র গরম থেকে মুক্তি পেতে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইস্তেসকার নামাজ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১০ জুন -২০২৩) সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ও বীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদের সভাপতি আলহাজ্ব মো: জাকারিয়া জাকা এর আয়োজনে ইস্তেসকার নামাজ অনুষ্টিত হয়।
শান্তিবাগ জামে মসজিদের খতিব মো: খাদেমুল ইসলাম নামাজে ইমামতি করেন। এতে শতাধীক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গত এক মাস আগেও বীরগঞ্জের যেখানে তাপমাত্রা ছিলো ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে। মাস খানেক পরেই সেখানে বেড়ে দাড়িয়েছে ৪০ এর কোঁঠায়।
তীব্র রোদ আর ভ্যাবসা গরমে অস্থির জন-জীবন। বৃষ্টি না হওয়া স্বস্তিতে নিশ্বাস নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। এই গরমে দেখা দিয়েছে খড়তা। বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল। অপর দিকে নষ্ট হচ্ছে গাছের ফল। কিছু অ লে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েল থেকে ঠিকমত উঠছে না পানি।
আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাবদাহের কারনে জন-জীবন কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। পশু-পাখী, গাছ-পালা সহ সকলের জন্য অত্যন্ত পানি প্রয়োজন হওয়া আমরা এলাকার যুবকরা মিলে সালাতুর ইস্তেসকার নামাজের আয়োজন করি।’
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে খোলা ময়দানে ইস্তেসকার নামাজ আদায় করেছি। অনাবৃষ্টির ফলে তীব্র গরমের কারণে শিশু, বৃদ্ধ, পশুপাখি সকলে কষ্টে জীবনযাপন করছে। গরমের কারণে বাচ্চারা পড়ালেখায় মন বসাতে পারছে না। বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’
হাফেজ মো: জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘রাসূল (সাঃ) অনাবৃষ্টি ও বিপর্যস্ত জন্য সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তেসকার সালাত আদায় করেছিলেন। নবী রাসূলের সুন্নাত কে আকড়ে ধরার জন্য বর্তমান বাংলাদেশে অনাবৃষ্টি দেখা দিয়েছে। আমরা খোলা মাঠে সালাতুল ইস্তেসকা নামাজ আদায় করেছি।’
সালাতুল ইস্তেসকার নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতে উপস্থিত ছিলেন নব নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোনায়েম মিয়া, বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান আঙ্গুর ও পৌরসভা সহ অন্যান্য এলাকার সকল মুসল্লিগণ।