হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে “তথ্য অধিকার আইন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন” শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুর ২.৩০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ তে উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা, তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। উক্ত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিিিছলেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, সভাপতিত্ব করেন ও রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সিনিয়র সদস্য প্রফেসর ড. মোছা. আফরোজা খাতুন, সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ মইনুর রহমান।
এ সময় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সংগ্রাম, জেল, জুলুম, ও নির্যাতন সহ্য করেছিলেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে তিনি সব সময় কাজ করে গেছেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে সুদীর্ঘ ২৪ বছরের লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছি বলেই আমরা আজ কথা বলতে পারছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন তারই যোগ্য উত্তরস‚রি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পরই তিনি শুদ্ধাচারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রয়োজন একটি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণম‚লক প্রশাসনিক ব্যবস্থা। প্রশাসনিক ব্যবস্থায় যদি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণ থাকে তবে যেকোন ধরণের অন্যায় অবিচার রোধ করা সম্ভব। শুদ্ধাচার চর্চার অংশ হিসেবে সকলের তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি তথ্য অধিকার আইন প্রবর্তন করেছেন। সকলের চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে, সেই সাথে তথ্য পাওয়ারও অধিকার রয়েছে। তবে এমন তথ্য যা প্রকাশ হলে রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যক্তি আর্থিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা প্রকাশ করা যাবে না। তিনি বলেন আমরা যে কাজই করতে যাই না কেন, সেটি নির্ভর করবে কতটা সঠিকভাবে আমরা তথ্য সংগ্রহ ও সন্নিবেশিত করতে পারছি তার উপর। বর্তমানে যার কাছে যতো বেশি তথ্য থাকবে সে তত বেশি সমৃদ্ধ। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী সর্বোপরি জনসাধারণ যেন প্রয়োজনীয় তথ্য পায় সেটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। পরিশেষে তিনি উক্ত প্রশিক্ষণ আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।