দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গরু-ছাগলের হাট বসছে। পর্যাপ্ত ক্রেতা এবং গরু-ছাগল থাকলেও দাম বেশী বলছেন ক্রেতারা।
অপরদিকে খামারীরা বলছেন পশু খাদ্যেে দাম বেশী হওয়ায় পশু পালনে খরচ বেড়েছে। হাট জমে উঠলেও বিক্রি এখনও বাড়েনি। তবে ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বিক্রি বাড়ছে।
দিনাজপুরের ১৩ উপজেলার ছোট-বড় মিলে ৬৬টি হাট বসে। ধারাবাহিকভাবে এসব হাটে পশু কেনাবেচা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অন্যতম বড়হাট ছিল রানীরবন্দর ও দিনাজপুর শহরের রেলবাজার হাট। ছোট, বড় নানাধরনের গরু-ছাগলে ভরে যায় হাট। তবে গত বছরের চেয়ে এবার কোরবানির গরুর দাম বেশি বলে জানান ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
হাটে দেখা যায়, জমে উঠেছে রানীরবন্দর গরুর হাট। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ক্রেতা এবং ব্যবসায়ীরা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ছোট-বড়, ষাঁড় বলদ, বকনা গাভি মিলিয়ে প্রায় ১০হাজার গরু হাটে এসেছে। তবে হাটে ছোট ও মাঝারি গরু বেশি দেখা গেছে।
আলোকডিহি গ্রামের খামারি মো. আবদুল্লা হাটে ৫টি ষাঁড় এনেছেন। তিনি জানান, তাঁর প্রতিটি গরুর দাম হাকাচ্ছেন ৭৫ থেকে ৯৫ হাজার টাকা।
অপর খামারি বেলাল জানান, গরুর খাবারের দাম বেশি। বছরে একটি গরু বড় করতে ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এই অবস্থায় প্রতিটি গরু গড়ে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে না পারলে লাভ হবে না।
গোয়ালডিহি গ্রামের রহিমদ্দিন বলেন, কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য গরু হাটে এনেছেন সেটি ৬ মাস আগে কিনেছিলেন ৪০হাজার টাকায়। গরুটি পালন করে বড় করার পর এখন দাম চাচ্ছেন ৭৫ হাজার টাকা। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন ৬০-৬৫ হাজার টাকা।
রানীরবন্দর হাটে আসা গরু ব্যবসায়ী জাবেদ বলেন, গত বছর ৫৫হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে সে গরু এবার ৬৫ থেকে ৭০হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে।
এদিকে, হাটে অনেক গরু এলেও দাম কমেনি। ঈদের আরও কয়েকদিন আছে। সামনে হাটে দাম কম হতে পারে বলে ফিরে যাওয়া ক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান।
হাটের ইজারাদার মো. আতিকুল রহমান বলেন, গরু ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বিষয়ে মাইক দিয়ে সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিরাপত্তার নিশ্চিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের তত্ত¡াবধানে এবং পরামর্শে খামারিরা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন দাবি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন।
তিনি জানান, দিনাজপুরে এবার ২লাখ ৫৯হাজার ১৩৮টি পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। তবে জেলার চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৫০২টির।