মোঃ মজিবর রহমান শেখ,,
মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি কতৃক প্রজ্ঞাপনকে তোয়াক্কা না করে ৮ অক্টোবর শনিবারও অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করছে টিএমএসএস রুহিয়া শাখা । বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে দুই দিন ছুটি ঘোষণা ও নতুন করে অফিস সময় নির্ধারণ করেছে তার আলোকে, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি কতৃক নির্দেশনায় গত ২২ আগস্ট ২০২২ তারিখে স্মারক নং০৫.০০.০০০০.৭৩.
০৮.০০৪.১০.১৮২ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই নির্দেশনা মতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি সনদ প্রাপ্ত সকল এনজিও কে সাপ্তাহিক দুই দিন ( শুক্রবার ও শনিবার) ছুটি রেখে নতুন সময় সূচী ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ঠাকুরগাঁও জেলায় এই নিয়ম অমান্য করছে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থা টিএমএসএস। চালু রাখা হয়েছে ঋণ প্রদান ও কিস্তি আদায় কার্যক্রম। এতে করে একদিকে যেমন সরকারি নির্দেশনা ভঙ্গ হচ্ছে অন্যদিকে সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় উন্নয়ন কর্মী সাপ্তাহিক ছুটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরেজমিনে ৮ অক্টোবর শনিবার রুহিয়ায় টিএমএসএস অফিস খোলা পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যায়, উন্নয়ন কর্মীগন ঋণ আদায় এবং ঋণ প্রদান কর্মসূচী প্রতিদিনের ন্যায় অব্যাহত ছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার ও তাদের কাজ করতে হচ্ছে। এই শাখা ছাড়াও বিভিন্ন শাখার উন্নয়ন কর্মীগন সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শনিবার ছুটির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। জোলাল ম্যানেজার ফোনে বলেন কাজের চাপ থাকার জন্য আপাতত শনিবারও কাজ করতে হবে, কিন্তু সরজমিনে অফিসের সাথে কথার কোন মিল পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উন্নয়ন কর্মী গনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী নিজেদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও শনিবার তাদের কাজ করতে হচ্ছে। আবার টার্গেট দেওয়া এবং বকেয়া টাকা উত্তোলনের জন্য চাপ দেওয়া হয়। এতে করে সাপ্তাহিক ছুটি থাকা সত্ত্বেও ছুটি কাটাতে পারছেন না।
তারা আরও জানান, সপ্তাহে দুই দিন ছুটি পেলে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে দেখা করা যায়। বাড়িতে গেলে নতুন করে কাজের স্পৃহা পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ছুটির দিনে কাজ করতে হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে টিএমএসএসের পঞ্চগড় জোনের জোনাল ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক বলেন আমাদের অফিসের কার্যক্রম ৯০% বন্ধ। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শতভাগ কার্যক্রম চলমান রহিয়াছে।