হাকিমপুর সংবাদদাতা \ শনিবার (২২ জুলাই) রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায, হাকিমপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আবু সায়েম মিযা এবং গণমাধ্যম কর্মীরা ওই বৃদ্ধা মাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায বলেন, ৭৫ বছর বযসী সেই বৃদ্ধার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয। আমি ২১ জুলাই বিষয়টি জেনেছি। জানার পর জেলা প্রশাসককে অবগত করেছি। তাছাড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকেও আমি বিষয়টি জানাই। সব থেকে বড কথা বৃদ্ধা দীর্ঘ সাত দিন থেকে একই জাযগায খেয়ে না খেয়ে অবস্থান করছেন। তার শরীরের অবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত যে কযদিন বৃদ্ধার পরিবারের খোঁজ না পাওযা যায; সে কদিন তিনি হাসপাতালেই থাকবেন।
এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার দাস জানান, নির্বাহী কর্মকর্তা সঙ্গে আলোচনা করেই ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেযা হয়েছে। বৃদ্ধার বিষয়ে জানার পর আমি নিজেই মর্মাহত। তিনি হাসপাতালে থাকলে বেশ ভালো থাকবেন; বর্তমানে তার শরীর অনেক দুর্বল।
স্থানীয গণমাধ্যম কর্মী জাহিদুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম সুইট জানান, ওই বৃদ্ধার গত সাতদিন ধরে হিলি চেকপোস্ট রোডের একটি বাসার সামনে শুয়ে বসে কাটাচ্ছিলেন। ওই বৃদ্ধা মাকে নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশ হয।
বৃদ্ধা মা সকিলা বিবি (৭৫) জানান, তার ছেলে এবং ছেলের বউ হাতে কাপড়ের ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে একটি গাড়িতে উঠিয়ে দেন এবং চলে যেতে বলেন, আর ফিরে না আসার কথাও বলেন। বৃদ্ধার ঠিকানা হয ঢাকা থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে হিলির একটি বাড়ির সামনে। নিজের এবং সন্তানের নাম বলতে পারলেও, তিনি বলতে পারছেন না নিজের পুরো ঠিকানা। পরে তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন হাকিমপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আবু সায়েম মিযা এবং গণমাধ্যম কর্মীরা।