দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০২৩সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। গড় পাশের হার ৭৬ দশমিক ৮৭শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭হাজার ৪১০জন। এবারে পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা দু’টিই কমেছে।
গতবারে পাশের হার ছিল ৮১দশমিক ১৬শতাংশ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৫৮৬ জন। ফলাফলে অন্যান্যবারের মত এবারেও ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে রয়েছে। এবার গণিত ও ভূগোলে সবচেয়ে বেশী ছাত্র-ছাত্রী অকৃতকার্য হয়েছে। করোনার প্রভাব পুরোপুরি না কাটার কারণে এসব ছাত্র-ছাত্রী অকৃতকার্য হয়েছে বলে জানান দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ হারুন-উর রশিদ মন্ডল।
শুক্রবার শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে পরীক্ষার ফল ঘোষণা করে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মোঃ হারুন-উর রশিদ মন্ডল জানান, ২০২৩সালে এই শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ২ লাখ ২৪৬২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় ১লাখ ৯৯৪৯১জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৫৩৩৪৯ জন পরীক্ষার্থী।গড় পাশের হার ৭৬দশমিক ৮৭শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭হাজার ৪১০জন। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে ৪৬হাজার ১৪২জন পরীক্ষার্থী।এছাড়া পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ২৯৭১জন পরীক্ষার্থী।
অধ্যাপক মোঃ হারুন-উর রশিদ মন্ডল জানান, গতবারের মত এবারেও ছাত্রীদের পাশের হার বেশি। ছাত্রীদের পাশের হার ৮০ দশমিক ২২ শতাংশ আর ছাত্রদের পাশের হার ৭৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। এবারে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ৪১০ জন। এদের মধ্যে ছাত্রী ৮৮২৮ জন এবং ছাত্র ৮৫২৮ জন।
বিজ্ঞান বিভাগে ৮৯ হাজার ৮৪৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮২ হাজার ৩১ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ৪৪হাজার ৪৬২জন ছাত্র ও ৩৭ হাজার ৫৬৯ জন ছাত্রী। বিজ্ঞান বিভাগে গড় পাশের হার ৯১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
মানবিক বিভাগে ১ লাখ ৭ হাজার ১০৮জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬৯ হাজার ৪১১ জন। এদের মধ্যে ২৮ হাজার ৫৯৫জন ছাত্র ও ছাত্রী ৪০হাজার ৮১৬ জন। মানবিকে বিভাগে গড় পাশের হার ৬৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ২ হাজার ৫৩৫জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ হাজার ৯০৭ জন। এদের মধ্যে ১ হাজার ১২৩ জন ছাত্র ও ছাত্রী মাত্র ৫৮৪ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে গড় পাশের হার ৭৫ দশমিক ২৩ শতাংশ।
শিক্ষা বোর্ডের অধ্যাপক মোঃ হারুন-উর রশিদ মন্ডল আরো জানান, এ বছর ২৯৭১জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এছাড়া ৭৬জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার হয়েছে। এবারে শুন্য ফলাফল বিদ্যালয়ের সংখ্যা একটি যা গতবারে ছিল ৫টি। এবারে শতভাগ পাশ করেছে ৮০টি বিদ্যালয় যা গতবারে ৮৭টি।
ফলাফল ঘোষণার সময় দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়ন্ত্রক মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী রেজা, শিক্ষাবোর্ডের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম রব্বানীসহ শিক্ষাবোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
এবারে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে শুন্য ফলাফল প্রাপ্ত বিদ্যালয়ের মাত্র একটি। এটি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পূর্ব কুমারপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।এ বিদ্যালয় হতে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। এই একজন পরীক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছে।
এবারে দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার ২ হাজার ৭০৪টি স্কুল হতে ২৭৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ১লাখ ৯৯হাজার ৪৯১জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল।