সোমবার , ৩১ জুলাই ২০২৩ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হরিপুরে ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
জুলাই ৩১, ২০২৩ ৩:২০ অপরাহ্ণ

হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা: ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ভবনগুলোতে কোমলমতি ২শত শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে।

ভবন দুটি বাইরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট
যে কোনো সময় ভবন ধসে সাভারের রানা প্লাজার মত বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

ভবন ধস আতঙ্কে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হারও কমে গেছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন।

হরিপুর প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলায় ১১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

এর মধ্যে ২টি বিদ্যালয় ভবন বহু পুরানো এবং খুবই জরাজীর্ণ। তাই এসব বিদ্যালয় ভবনগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই বিদ্যালয় দুটিতে কোমলমতি ২শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।

ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় দুটি হলো- মিনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নারগুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেগুলোতেও পাঠদান চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাকিস্তান আমলে ও স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ওই বিদ্যালয় ভবনগুলো নির্মিত হয়। যথাযথ সংস্কার ও নির্মাণ কাজে কম কস্টের কারণে বিদ্যালয় ভবনগুলো এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, ছাদের বিম, দেয়াল, পিলার ও ছাদে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়েছে ছাদের পলেস্তারা। সামান্য বৃষ্টিতে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ছে। অথচ এখানো এসব বিদ্যালয় ভবনে চলছে পাঠদান। যে কোনো মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে এসব ভবন।

মিনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ছাদের বিম, স্তম্ভ ও দেওয়ালে ফাটল, পলেস্তারাঁ (আস্তর) টুকরা ঝরে পড়ছে। দরজা-জানালা মরিচা ধরে ভেঙে গেছে। সামান্য ও অতি বৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের ছাদ চুইয়ে শ্রেণীকক্ষে পানি পড়ছে।

এছাড়া বৃষ্টি হলে কক্ষের ভেতর পানি ঢুকে পড়ে। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১শ’১জন। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের করা ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনের তালিকায় এটিকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে নারগুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা বাবলী
জানান, বিদ্যালয়টি খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয় ভবনটি সংস্কার করলেও টেকসই হবে না। তাই ভবনটি সম্পূর্ণ ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ ছাড়া বিকল্প নেই।

এ বিষয়ে অভিভাবক রয়েল বলেন, “ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়। তাই অনেক সময় তাদের বিদ্যালয়ে যেতে মানা করি। ”

হরিপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদ ইবনে সুলতানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া দিগন্তকে জানান,উপজেলা প্রকৌশলীসহ আমরা সরজমিনে তদন্ত পূর্বক ঝুঁকিপূর্ণ ২টি বিদ্যালয়সহ ২৫টি বিদ্যালয়ের তালিকা প্রস্তুত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও উপজেলা প্রকৌশল বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিবেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে জানান, আমি নিজে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি বিদ্যালয়ে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। এই ভবন গুলো অনতিবিলম্বে সরিয়ে নতুন ভবন নির্মাণ না করলে যেকোন মূহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ।

ফুলবাড়ীতে ২০১ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার মেলা শুরু

পঞ্চগড় টু রাজশাহী ট্রেন সার্ভিস এর নামকরণ হয়েছে বাংলাবান্ধা_এক্সপ্রেস

পীরগঞ্জে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ

হরিপুরে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা

রাণীশংকৈলে বিনামূল্যে টিউবওয়েল বিতরণ

ঠাকুরগাঁও জেলার শ্রেষ্ট এসআই নির্বাচিত হলেন আশরাফুল ইসলাম

রাজদেবোত্তর এস্টেটের পক্ষে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানকে সংবর্ধনা প্রদান

ঠাকুরগাঁওয়ে সচেতনতার মাধ্যমে ডায়াবেটিসে মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে হবে — রমেশ চন্দ্র সেন এমপি

ভুট্টার বাম্পার ফলনে লাভের স্বপ্ন দেখছেন,বীরগঞ্জের ভুট্টা চাষীরা