রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের চতুর্থ পযার্য়ের বাড়ী প্রস্তুত না হতেই উদ্বোধন করা হযেছে। উদ্বোধন করা হলেও সুবিধাভোগীরা তাদের কাঙ্খিত বাড়ী বুঝে পায়নি। এখনো বাড়ী নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, রাণীশংকৈল উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ে ২১০টি বাড়ী নির্মাণ সম্প‚র্ণ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের ন্যায় রাণীশংকৈল উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্পের ২১০ টি বাড়ী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সে হিসাবে সারা দেশেই গতকাল বুধবার আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের জমির দলিল ও বিদ্যুাৎ লাইনসহ ঘরের চাবি হাতে তুলে দেওয়ার কথা। অথচ রাণীশংকৈল উপজেলায় বাড়ী উদ্বোধন হলেও জমির দলিল ও বাড়ী বুঝে পায়নি বেশিরভাগ সুবিধাভোগী।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মীরডাঙ্গী বাজার সংলগ্ন মহেষপুর গ্রামে মোট ৩৪টি বাড়ীর ঘর বসেছে। এ বাড়ীর ঘরগুলোর ১৭টি বাড়ীর ঘর নির্মাণ সম্প‚র্ণ হয়েছে তবে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন হয়নি। অপরদিকে অবশিষ্ট ১৭টি বাড়ীর ঘরের মধ্যে ৪টি বাড়ীর ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এদিন সরেজমিনে দেখা যায়, ওই ৪টি বাড়ীর ঘরের মেঝেতে খোয়ার ঢালাই ও আস্তরের(প্লাষ্টার)কাজ চলছে। একইভাবে নেকমরদ এলাকার চামারদিঘী এলাকায় মোট ২৬টি ঘরের মধ্যে ৫টি ঘরের বিভিন্ন কাজ চলতে দেখা যায়। রাণীদিঘিতে ২টি ঘর। এছাড়াও ওই বাড়ীগুলোর এখনো অনেক বাড়ীর রং করা হয়নি। বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন হয়নি। এবং কি সুবিধাভোগীরা এখনো বাড়ী বুঝে পায়নি। অপরদিকে নন্দুয়ার ইউনিয়নের মুনিষগাঁও গ্রামের ৬৭টি বাড়ীর রংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। গতকাল বুধবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীদের উপস্থিতি থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তারা তাদের বাড়ী বুঝে পায়নি। তাদের মধ্যে বনগাঁও এলাকার ভুমিহীন রাজিব আলী নামে একজন বলেন,উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডেকেছিল। শুনেছি আজ প্রধানমন্ত্রী বাড়ী উদ্বোধন করে আমাদের হাতে বাড়ীর চাবি তুলে দেওয়া হবে, কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে তা করা হয়নি। খালি হাতেই ফিরেছি। একইভাবে মীরডাঙ্গী মহেষপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী আব্দুল হালিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাড়ী উদ্বোধন করলেও। আমরা এখানকার বাসিন্দারা এখনো বাড়ী বুঝে পায়নি। উল্টো এখনো বাড়ীর নির্মাণ কাজ চলমনা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামিয়েল মার্ডি গতকাল বুধবার মুঠোফোনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেও অনেক বাড়ী এখনো প্রস্তুত হয়নি। তবে খুব শিগগির বাড়ী প্রস্তুত করে সুবিধাভোগীদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
রাণীশংকৈল সাব-রেজিষ্টার শফি আকরামুজ্জামান গতকাল বুধবার বলেন, গত চার দিনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মোট ১৬৩ বাড়ীর জমির দলিল সম্পাদন করা হযেছে।
রাণীশংকৈল পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম নেজামুল ইসলাম বলেন,আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ীগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের জন্য গতকাল বুধবার ১৪৫ টি বাড়ীর তালিকা অফিস মেইলে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এগুলোর কাজ খুব শিগগির শুরু করা হবে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান গতকাল বুধবার মুঠোফোনে বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে বাড়ীগুলো সুবিধাভোগীদের মাঝে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।