দিনাজপুরের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পল্লীশ্রী’র আয়োজনে তাদের নিজস্ব মিলনায়তনের প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার ১৯৯৫ সালের এই দিনে পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিত হয়ে প্রাণ দিতে হয় ১৫ বছরের ইয়াসমিন আক্তার’কে। সে কারণেই নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সারাদেশের মতো পল্লীশ্রীও ইয়াসমিন ট্রাজেডি দিবসের কর্মসূচী পালন করেছে।
পল্লীশ্রী’র নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সুযোগ সৃষ্টি প্রকল্পের প্রোগ্রাম ফ্যাসিলিটেটর কৃষ্ণা দাস এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ সেলিম রেজা, সৈয়দ মোস্তফা কামাল, মোঃ আবুল কাশেম, ম্যানেজার অডিট, মোঃ হুমায়ুন কবির, ম্যানেঞ্জার ফাইন্যান্স এন্ড এডমিন, কর্মসূচী সমন্বয়কারী নাজনিন বেগম, হিসাব রক্ষক সুধন্য চন্দ্র রায়। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন পল্লীশ্রী’র এইচআর ইনচার্জ শামিমা বেগম পপি।
বক্তারা বলেন, ১৯৯৫ সালের এই দিনে পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিত হয়ে প্রাণ দিতে হয় দিনাজপুর রামনগরের ১৫ বছরের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তারকে। প্রতিবছর দিনটি পালন হয়ে আসছে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে। সেই দিন মাকে দেখতে ইয়াসমিন ঢাকা থেকে রওনা দেয় হাছনা ইন্টারপ্রাইজ নৈশ্য কোচে। রাতে দিনাজপুরে নেমে যায় সে। এরপর তাকে বাড়ী পৌঁছে দেওয়ার নাম করে পুলিশরা পিকআপে তুলে নেয়। ১০ মাইল থেকে দিনাজপুর শহরের আসার পথে ব্রাক স্কুলের সামনে ভোরের দিকে পুলিশ ভ্যানে উপস্থিত ৩জন সদস্য এসআই মাইনুল, কনস্টেবল সাত্তার ও অমৃত ইয়াসমিনের শ্লীনতাহানী ঘটিয়ে চলন্ত পিকআপ ভ্যান থেকে ছুড়ে ফেলে দিলে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠে দিনাজপুর। বিক্ষুব্ধ জনতার উপর চলে পুলিশের গুলি। নিহত হয় সামু, কাদের, সিরাজসহ আরোও ৭ জন এবং আহত হয় শতাধিক। সেই থেকে দিনাজপুরে এই দিনটি ইয়াসমিন হত্যা দিবস হিসেবেই পালন করা হয়।