বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি নির্ভর এলাকা হিসেবে ব্যাপক ভাবে পরিচিতি ও যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার সুবাদে এখানে দেশের বিভিন্ন কোম্পানীর সার, বীজ ও কীটনাশকের বৃহৎ বাজার গড়ে উঠেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশস্ত কয়েকজন কৃষকের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে বীরগঞ্জ পৌর এলাকা সহ উপজেলার শিবরামপুর, পলাশবাড়ী, শতগ্রাম, পাল্টাপুর, সুজালপুর, নিজপাড়া, মোহাম্মদপুর, ভোগনগর, সাতোর, মোহনপুর ও মরিচাসহ ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার এলাকা ও কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে দেখা যায়, ডলফিন এগ্রো কেয়ারের নি¤œমানের নষ্ট প্রকৃতিক কার্য্যক্ষমতাহীন ডলফিন জিংক (দস্তা সার-মনো) দিয়ে সয়লাব হয়ে গেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, পৌরশহরের পোস্ট অফিস এলাকার মুজাহিদ ট্রেডাস, জিসান এন্টারপ্রাইজ সহ খানসামা রোডস্থ কয়েকটি দোকানে এবং ঝাড়বাড়ী, অর্জুনাহার, বৈরাগীবাজার, আমের ডাঙ্গা সহ উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চল এবং আশপাশের কিছু উপজেলা সহ নীলফামারীর বেশ কিছু এলাকার ডলফিনের নি¤œমানের জিংক সার বিক্রয় করা হচ্ছে। বীরগঞ্জ পৌর এলাকার একটি ডিপো থেকে কৃষকদের প্রতারিত করে আন্ডার রেটে নি¤œমানের জিংক মনো সার কম দামে ক্রয় করে অধিক মুনাফার ব্যবসায় লিপ্ত হয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও ডিলার। এ ব্যাপারে অনেক খোজাখুজির পর পৌর শহরের আরিফ বাজারস্থ সাইনবোর্ডবিহীন ডলফিনের ডিপো অফিসটি পাওয়া যায়। এসময় ডলফিন এগ্রো কেয়ারের ডিপো ও গোডাউনে অবস্থানরত অত্র কোম্পানীর ডিরেক্টর শরফ উদ্দিন সোহাগ, ডিপো ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম ও আর,এস,এম, আব্দুল আলিমকে উপস্থিত পাওয়া যায়। নি¤œমানের ডলফিন জিংক ক্রয় করে এলাকার অনেক সাধারণ কৃষকের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি অবগত করা হলে এক প্রশ্নের জবাবে অভিযোগের সত্যত্য স্বীকার করে ডিরেক্টর সোহাগ ও ডিপো ইনচার্জ জহিরুল জানান, ডলফিন জিংক মনো সারের নি¤œমানের অভিযোগ প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক ও বিক্রেতাদের মাধ্যমে জানতে পেরে এ পর্যন্ত বিভিন্ন বাজার গুলো থেকে এই নষ্ট প্রকৃতির সার ফেরত নেয়া হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে নি¤œমানের জিংক সার বাজার থেকে তুলে নিয়ে ফেরত চালান করে কোম্পানীতে পাঠানো হবে। কিন্তু কোম্পানীর বিভিন্ন তথ্যাদি দেওয়ার কথা বলে রাতের আধারে ডিপো থেকে বিপুল পরিমানের নি¤œমানের ডলফিন জিংক মনো গোপনে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে। ডিপো সশ্লিষ্টরা জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০ইং তারা এই বাড়িটি ছেড়ে দিয়ে ডিপোটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, বাজারজাতকারী ডলফিন এগ্রো কেয়ার, হাউজ নং ৪২৯(৩য় তলা), রোড নং -৭, ডি ও এইচ এস বারিধারা, ঢাকা-১২০৬ প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা ভুল। এছাড়া ডলফিনের বিভিন্ন পণ্যের গায়ে ৩ বছর মেয়াদী সিল দেখতে প্ওায়া যায় যা সম্পূর্ন নিয়ম বহি:ভূত ও আইন পরিপন্থী বলে জানান কৃষিবিদরা। গত ৫ জানুয়ারী ২০ইং তারিখে ডলফিনের বীরগঞ্জ ডিপোটি প্রশাসন কতৃক সিলগলা করা হয় এবং পরবর্তীতে সিলগলা খুলে দেওয়ার পর হতে এই কোম্পানির বিভিন্ন মালামাল ব্যাপকভাবে বাজারে বিস্তার লাভ করে। বর্তমানে নি¤œমানের ডলফিন জিংক দিয়ে বাজার সয়লাব ও কৃষকদের প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি সমন্ধে মুঠোফোনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মো: আসাদুজ্জামান কে অবহিত করা হলে তিনি বাজার থেকে নি¤œমানের ডলফিন এগ্রো কেয়ারের জিংক মনো সারের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব টেষ্ট ও কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান।