উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগের অন্যতম রুট দিনাজপুরের হিলি রেলওয়ে স্টেশন। এ স্টেশন লাগোয়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও দেশের দ্বিতীয় স্থলবন্দর রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে স্টেশনটিতে স্টেশন মাস্টার ও ঢাকাগামী ট্রেনের স্টপেজ না থাকায় রেলপথ অবরোধ করে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
রোববার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে রাজশাহী থেকে চিলাহাটির উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট অবরোধ করে রাখেন স্থানীয়রা। পরে রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন তারা।
আগামী এক মাসের মধ্যে রেলওয়ে স্টেশনটির আধুনিকায়ন, ঢাকাগামী ট্রেনের স্টপেজ ও ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য খালাস কার্যক্রমের অনুমতি না দিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেলপথ অবরোধ করার ঘোষণা দেন স্থানীয়রা।
রেলপথ অবরোধ ও মানববন্ধনে অংশ নেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, হিলি নাগরিক কমিটি, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা।
মানববন্ধব চলাকালে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, হিলি নাগরিক উন্নয়ন কমিটির নেতা সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলমসহ অনেকে।
বক্তরা, হিলি রেলস্টেশনের আধুনিকায়নসহ এই রুটে চলাচলকারী সকল ট্রেন থামানোর দাবি জানান। পরে বেলা ১১ টায় হাকিমপুর থানার ওসি আবু সায়েম মিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অবরোধকারীরা অবরোধ তুলে নেন। ১ ঘন্টা পর পার্বতীপুর-সান্তহার রুটের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।