মো: রেজাউল করিম, (স্টাফ রিপোর্টার) : ঠাকুরগাঁওয়ের এক সংবাদকর্মীর আম্মার পাসপোর্ট অদক্ষ কম্পিউটার অপারেটর দিয়ে করার কারণে পিতা ও স্বামীর নাম ভুলবশতঃ একই লেখায় পরে আর করতে পারলেন না রিনিউ।
জানা যায় গত ২৩শে মার্চ ২০১৪ সালে মাঝেমধ্যে ভারতে বাবার বাসায় যাবেন বলে করেন ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট, যা ২২শে মার্চ ২০১৯ সালে মেয়াদ উত্তীর্ন হয়। দীর্ঘ ৫ বছর সেই পাসপোর্ট দিয়েই বার বার ঘুরে এসেছেন ভারত থেকে কিন্তু যথা সময়ে রিনিউ না করায় মেয়াদ শেষ হওয়ায় পরে মায়ের অসুস্থতার খবর শোনে আবার নতুন করে পাসপোর্ট করতে গিয়েই বাধে বিপত্তি।
পিতা ও স্বামীর নাম ভুলক্রমে পাসপোর্টে একই লিপিবদ্ধ হওয়ায় করতে হবে এফিডেভিটসহ দ্রুত কাগজপত্র সংশোধন। টাকা, সময়, এবং অফিসে যাওয়ার নেই লোক সে ভয়ে আর দীর্ঘদিন করেননি পাসপোর্ট। কিছুদিন পরে নানি মারা যাওয়ায় ২০২২ সালে ই-পাসপোর্টের সিদ্ধান্ত কিছুটা সহজ হওয়ায় পাসপোর্ট করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয় এবং ঠাকুরগাঁও ভিসা অফিসের নিচ তলায় এক দোকানী দাদার সাথে কথা হলে বলেন একদিনে ফর্ম জমাসহ আঙুলের ছাপ দিয়ে যেতে পারবেন।
তাই নিধারিত তারিখে পাসপোর্ট করতে গেলে ফরম পূরণ করার একপর্যায়ে দোকানী/দালালচক্রের সদস্য দাদা জানায় যে একদিনে ফর্ম জমাসহ আঙুলের ছাপ দিতে গেলে দুইটি পাসপোর্টের জন্য ৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত চা খরচ লাগবে খরচ দিলে আড়াই টার মধ্যে ফর্ম জমাসহ আঙুলের ছাপ দেওয়া যাবে।
ব্যাংকে টাকা দেওয়া শেষ, কি আর করার সংবাদকর্মীর আম্মা পাসপোর্ট করবেন জানালে ২:১৫ মিনিটে কোথায় ফোন করে কনফার্ম করে টাকা চান সেই দাদা। টাকা দেওয়ার সময় কিছু কম দেওয়ায় কাজটি হলো না সেদিন!
পরদিন (১১ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি উপ-সহকারী পরিচালক স্যারকে, ক’দিন আগে নানি মারা যাওয়া, বাড়ি থেকে ঠাকুরগাঁও অনেক রাস্তা হওয়াসহ আম্মার এবং সংবাদকর্মীর অসুস্থতার কথা জানালে কাগজপত্র দেখে বলেন ‘আপনার আম্মার আইডি কার্ডের ক্লিয়ারেন্স লাগবে’ তৎক্ষনাৎ ঠাকুরগাঁও উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয় হতে ক্লিয়ারেন্স এনে দিলে আল্লাহর অশেষ রহমতে ঠাকুরগাঁও উপ-পরিচালক স্যারের আন্তরিক কৃপায় সে দিনেই পাসপোর্টের আবেদন, আঙুলের ছাপসহ যাবতীয় ডকুমেন্টস জমা করা হয়।
তবে আরো কিছু ডকুমেন্টস লাগবে পুলিশ ভেরিফিকেশনের রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে সামনে সপ্তাহে আবারও একবার দেখা করতে বলেছেন।
পাসপোর্ট একটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই আবেদন করার সময় নিশ্চয়ই দক্ষ কম্পিউটার অপারেটর দিয়ে করা প্রয়োজন মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।