রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:- থোকায় থোকায় শোভা পেয়েছিল সবুজ ধান, ধানের গাছে থোকা থোকা শীষ দেখে ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখেছিল কৃষক সুমন পাটোয়ারী। কিন্তু হঠাৎ করেই ধানের থোকার প্রায় শীষগুলো সাদা হয়ে শুকিয়ে যাওয়ায় দু:চিন্তায় পড়ে গেছেন ওই কৃষক।
বলছিলাম ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার ক্ষুদ্র বাশঁবাড়ী গ্রামের কৃষক সুমন পাটোয়ারীর কথা। এবারে প্রায় তিন বিঘা জমিতে বিনা-১৭ ধান চাষাবাদ করেছেন তিনি।
সুমন পাটোয়ারী জানান, ধানের শীষ ভালোই হয়েছিল। হঠাৎ করেই ধানের প্রায় গাছের শীষগুলো প্রথমে সাদা, কালচে হয়ে পরে শুকিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অতি তাপমাত্রার কারণে এমনটি হচ্ছে। তবে এটি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলে তারা জানিয়েছেন। কৃষক সুমন পাটোয়ারী বলেন, তারা(কৃষি বিভাগ) চিন্তার কিছু নেই জানালেও দিনের দিন এই রোগের বিস্তার বাড়ছে বলে তিনি মনে করছেন।
একইভাবে উপজেলার সন্ধারই,বলিদ্বাড়া,কেউটান,ভান্ডারা এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় খোজ নিয়ে জানা গেছে, বিনা-১৭ জাতের ধানের শীষ একইভাবে কালচে হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। সন্ধারই এলাকার কৃষক মকুল হোসেন জানান,আগাম জাতের ধান হিসাবে বিনা-১৭ ধানটি রোপন করেছিলাম। কিন্তু ধানটি হঠাৎ করেই অজানা এই রোগে আক্রান্ত হবে বুঝতে পারি নি। বলিদ্বাড়া এলাকার কৃষক মো: বিপ্লব বলেন, প্রায় ৫ বিঘা জমিতে বিনা-১৭ ধান চাষাবাদ করেছি ধানের শীষ ভালোই বের হলো। কিন্তু ধানের শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, এ থেকে পরিত্রাণের কোন উপায়ও খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, আমনের এ মৌসুমে উপজেলা জুড়ে এবারে মোট ২১ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে ধান চাষাবাদ হচ্ছে।
সন্ধারই-বনগাঁও ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এটি ধানের একটি হ্রিট স্টোক নামে রোগ। এটি অতি তাপমাত্রার কারণে সংগঠিত হয়। ধানের শীষ বের হওয়ার সময় যেসব শীষ অতি তাপমাত্রায় পড়েছে সেই সব ধানের শীষই এখন শুকিয়ে যাচ্ছে। তবে চিন্তার কিছু নেই। নতুন করে কোন ধানের শীষ শুকানোর সম্ভবনা খুব কম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম গতকাল রোববার মুঠোফোনে বলেন, এটি কোন ব্যাপার না। অতি তাপমাত্রায় ধানের পরাগায়ন হওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে। ধান পরাগয়নের সময় জমিতে পানি থাকলে এই সমস্যাটি হতো না।