আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন, কাঙ্খিত পদোন্নতি, স্কেল আপগ্রেডেশন ও অর্জিত ছুটি প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিসমূহ আদায়ে টানা তিন দিনের সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি দিনাজপুর সরকারি কলেজ ইউনিট। দ্বিতীয় দফায় গত ১০ অক্টোবর থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছিলো।
সারাদেশের ন্যায় বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতির সামনে কর্মসূচির শেষ দিন পালিত হয়।
কর্মবিরতিকালে শিক্ষকরা সকল প্রকার অফিসিয়াল কাজের পাশাপাশি সকল প্রকার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন এবং সত্যায়িত কাজেও সাক্ষর দেয়া থেকে বিরত থাকেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু বকর সিদ্দিক, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আইয়ুব আলী, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুল ইসলাম, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি দিনাজপুর জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম, সরকারি কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব কুমার সাহা প্রমুখ। এসময় অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, কেন্দ্র কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা সকাল থেকেই ক্যাডার বৈষম্যের নিরসনের দাবীতে কলেজ ক্যাম্পাসে কর্মবিরতি পালন করছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করলেও সেটাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। আমরা যোগ্য হয়েও আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। অধ্যাপক, সহযোগি অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক পদে সারা দেশে তিন হাজার জন পদোন্নতি যোগ্যদের পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না। একইভাবে স্কেল আপগ্রেড এবং আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন করা হচ্ছে না। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে অবিলম্বে শিক্ষা জীবন রক্ষায় সরকারের প্রতি দাবী জানাচ্ছি। বক্তারা বলেন, আমাদের নিজস্ব মন্ত্রণালয়ে আমাদের শিক্ষা ক্যাডারের লোকবল রেখে অন্য ক্যাডার থেকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে যা একটা বৈষম্য। বাৎসরিক ছুটি থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। আমরা চাই আমাদের শিক্ষা ক্যাডারে নতুন পদ সৃষ্টি করা হোক এবং আমাদের পদোন্নতিসহ সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তারা আরো বলেন, সরকার তাদের দাবী না মানলে কেন্দ্রের পরবর্তি কর্মসূচী অনুযায়ে তারা তাদের পরবর্তি কর্মসূচী পালন করবেন।
এছাড়া বক্তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গেডে উন্নীতকরণ, অর্জিত ছুটি প্রদান এবং ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি বাতিল, শিক্ষা ক্যাডার, তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষঅ ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার ও প্রয়োজনীয় পদসৃজনসহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সকল ন্যায্য দাবীসমুহ বাস্তবায়নের দাবী জানান।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২অক্টোবর প্রথম দফায় এক দিনের কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। এদিকে শিক্ষকদের এ কর্মবিরতির কারণে প্রতিদিনই বিভিন্ন ক্লাশের শিক্ষার্থীরা কলেজে এসে ক্লাশ ও পরীক্ষা না হওয়ায় ফিরে যাচ্ছে।