দিনাজপুর প্রতিনিধি \
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের সুবর্ণখুলী গ্রামে এক নিঃসন্তান দম্পতিকে বাড়ি করে দিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সাবেক ডাকসু সদস্য রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য। নিঃসন্তান দম্পতি হলেন সুবর্ণখুলী গ্রামের মুন্সিপাড়ার তাইজুল ইসলাম ও মোছাঃ বেগম।
শুক্রবার সকালে দম্পতির নবনির্মিত বাড়িতে গিয়ে আনুষ্ঠানিকতার সাথে খানসামা উপজেলার কৃতি সন্তান ঐতিহ্য ফিতা কেটে ও দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাড়িটি উদ্বোধন করেন। এসময় এই নিঃসন্তান দম্পতি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
জানা যায়, তাইজুল ইসলাম ও মোছাঃ বেগম ৪০ বছরের দাম্পত্য জীবনে অনেক সম্পত্তির মালিক ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় তা বিক্রি করে বর্তমানে ৪০ দিনের কর্মসূচি ও মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। স¤প্রতি ঝড়ে তাদের ঘুমানোর একমাত্র ঘরটি ভেঙ্গে যায়। এরপর তারা তাদের ভাতিজার বারান্দায় দিন কাটায়। খবর পেয়ে ছাত্রলীগ নেতা রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য বিভিন্ন জনের কাছে সহায়তা নিয়ে টিনের একটি বাড়ি করে দেন। যাতে তারা ঝড়-বৃষ্টিতেও একটু ভাল করে ঘুমাতে পারে।
নিঃসন্তান দম্পতি তাইজুল ইসলাম ও মোছাঃ বেগম বলেন, হামার কোন ছোয়া-ছোট (সন্তান) না থাকায় হামরা কখনো ভাবিনি যে হামার পাশে কেউ দাঁড়াবে। ঝড়ে হামার বাড়ি উড়ি যাবার পর হামরা খুব কষ্ট করি দিন পার করিনো। হামারে গ্রামের ছোয়া ভোটত ঢাকা থাকি বাড়িত আসিয়া কারবেঠে শুনিয়া টিন, কাঠ ও মিস্ত্রি নিয়া বাড়িত হাজির। হামাক এই বাড়িটা করি দেওয়াতে হামরা অনেকটা চিন্তামুক্ত। হামরা ঐতিহ্য ছোয়াটার জন্য দোযা করিছি আল্লাহ্ যেন ওক অনেক বড় করে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য বলেন, স¤প্রতি এলাকায় ঝড়ে অনেক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে এই নিঃসন্তান পরিবারটি দুর্বিষহ জীবনযাপন করার খবর পেয়ে তাদের কাছে এসে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বাড়ি করে দেওয়ার অঙ্গীকার করে যাই। এরপর কয়েকজনের আর্থিক সহায়তায় বাড়িটি নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এরপরও এই দম্পতির যেকোন প্রয়োজনে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর এপিএস সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাশার সহযোগিতা করার কথা ব্যক্ত করেছেন। এজন্য বাড়িটি নির্মাণে সকল সহযোগিতাকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ছাত্রলীগ যেকোন সময় এধরনের মানবিক কাজ করে থাকে। যেকোন মানুষের বিপদ-আপদে ছাত্রলীগ সহায়ক বন্ধুর মত কাজ করে যাচ্ছে।