হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (আইআরটি) এর আয়োজনে তিন দিনব্যাপী “৩য় বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ২০২৩ এবং আইআরটি বার্ষিক গবেষণা প্রতিবেদন ২০২২-২৩ এর মোড়ক উন্মোচন” অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এ উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রথম ইউজিসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফেলো এবং হাবিপ্রবির সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এম. আফজাল হোসেন, সভাপতিত্ব করেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের সম্মানিত ডীন, চেয়ারম্যান ও শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আইআরটি’র সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ডা. মো, সুলতান মাহমুদ। পরবর্তীতে আইআরটি’র বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ¯øাইডের মাধ্যমে তুলে ধরেন পরিচালক প্রফেসর ড. এস.এম. হারুন উর রশিদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোসা. নূর-ই-নাজমুন নাহার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা তার দূরদর্শী চিন্তা থেকে বিজ্ঞানের উপর জোর দিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় মানেই হল সেখানে জ্ঞান চর্চার পাশাপাশি জ্ঞানের সৃষ্টি হবে অর্থাৎ গবেষণা হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নিত করতে হবে, এক্ষেত্রে গবেষণার কোন বিকল্প নেই। সেই গবেষণার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যার সরকার বরাদ্দ দিচ্ছেন, আমি আশা করি সে গুলোকে আপনারা ভালোভাবে কাজে লাগাচ্ছেন। তিনি বলেন, হাবিপ্রবি গবেষণা কর্মে আরও অনেক এগিয়ে যাক সেই শুভকামনা রইল। তিনি তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে গবেষণার বিষয় নিয়ে যথাযথ দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, একটি দেশের উন্নতি করার ক্ষেত্রে গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এই গবেষণা হতে হবে মানসম্পন্ন। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গবেষণাকে সব সময় উৎসাহিত করেন বিশেষ করে কৃষি গবেষণাকে তিনি গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশে কৃষি গবেষণার যে সাফল্য, তা অন্যান্য গবেষণার তুলনায় আকাশছোয়া। গবেষণার মাধ্যমে ব্যয় কমাতে হবে এবং উৎপাদনের উৎকর্ষতা বাড়তে হবে। আমাদেরকে আমদানির বিকল্প এবং রপ্তানী উৎসাহিত করে গবেষণায় এ ধরনের প্রযুক্তি ও পন্য উৎপাদন করতে হবে। গবেষণায় উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও পন্য যেন দেশের কল্যাণে আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বহুমুখী প্রযুক্তি ও পন্য উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানি বাড়াতে পারি যা বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে। আমরা অতি শীঘ্রই কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে দুইটি ইউনিট-ডিজিজ ডায়াগনস্টিক ইউনিট এবং সেল অ্যান্ড টিস্যু কালচার ইউনিট স্থাপন করব, যা আমাদের গবেষণার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিশেষে তিনি আরও বলেন, ২০৪১সালের মধ্যে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি।