শুক্রবার , ২০ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরসহ উত্তরের কয়েক জেলায় হেমন্তের শুরুতে শীতের আমেজ

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
অক্টোবর ২০, ২০২৩ ৯:০৯ অপরাহ্ণ

দিনাজপুরসহ কয়েক জেলায় হেমন্তের শুরুতে দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। দিনভর গরম থাকলেও সন্ধা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত হালকা কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে প্রকৃতি। রাতে মৃদুু শীত শীত ভাব বলে শীতের আগমনী বার্তা। রাতে সব বয়সী মানুষের শরীরে কাঁথা ও হালকা কম্বল জড়াতে হচ্ছে। আর সকালের মিষ্টি রোদে মাঠের সবুজ ঘাসের গায়ে লেগে থাকা শিশির বিন্দুর ঝলকানি শীতের সকালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে নতুন বীজের প্রস্ফুটিত চারা। ফসলের খেতসহ ঘাসে শিশির বিন্দু এঁকে দিচ্ছে শীতের চিহ্ন। সবুজ ধান গাছের প্রতিটি পাতা ভোরের বাতাসে দুলছে আর পাতা থেকে ঝরছে শিশির বিন্দু। কুয়াশা মাখা মনোরম এ পরিবেশ উপভোগ করছেন সব শ্রেণি পেশার মানুষজন। শান্ত-নীরব প্রকৃতিতে নদী-নালা ও খাল-বিলে কমতে শুরু করেছে পানি।
এদিকে আগাম সবজি চাষ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা।মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, টমেটো, লালশাকসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির আগাম চাষাবাদ করছেন। আবার আগাম চাষের সবজি বাজারেও আসছে।
অপরদিকে শীত মৌসুম শুরুতেই বিভিন্ন গ্রাম্য পরিবারের গৃহবধূরা কাঁথা সেলাই শুরু করেছেন। অনেক পরিবার রয়েছে, যারা কাঁথা সেলাইয়ের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এ ব্যাপারে কাটাবাড়ী গ্রামের মরিয়ম জানান, শহরের অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার শীত মৌসুম আসার আগে তাদের কাছে কাঁথা সেলাই করে দেয়ার জন্য কাপড় সরবরাহ করেন। নকশা ভেদে এক একটি কাঁথা সেলাই করতে মজুরি বাবদ নেয়া হয় ৫শ থেকে ১হাজার টাকা। অনেক গৃহবধূ কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রতিবছর ১০ থেকে ১৫টি কাঁথা সেলাই করে বাড়তি আয় করছেন। গরীব পরিবারের মহিলারা পুরান শাড়ি, লুঙ্গি দিয়ে কাঁথা তৈরি করে চলেছেন। তাদের লেপ- তোষকের স্বাদ থাকলেও অনেকের সাধ্য না থাকায় রং-বেরঙের সুতা ও কাপড় দিয়ে কাঁথা বুনছেন শীত কামড় থেকে নিজেদের সুরক্ষার জন্য ।
আবার শীতের আগমনীর সাথে পাল্লা দিয়ে শীত নিবারণে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। শীত জেকে বসার আগেই শীত নিবারনে ওইসব লেপ-তোষক তৈরীর দোকানে ভীড় করছে মানুষ।অনেকে শীত নিবারণের জন্য হালকা কাঁথা ও কম্বল ব্যবহার শুরু করেছেন।
লেপ-তোষক দোকানদাররা জানান,শীত মৌসুমে প্রতি দোকানে প্রায় ১০০ থেকে ২৫০টি লেপ-তোশক ও জাজিম কেনা বেচা হয়।
ব্যবসায়ীরা জানায়, শীতের আগমনীর সাথে দিনাজপুরের বিভিন্ন লেপ-তোষক কারিগর ও ব্যবসায়ীদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে।দিনাজপুর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার ছোট-বড় হাটবাজারগুলোয় জাজিম, বালিশ, লেপ, তোষক তৈরি ও বিক্রির কাজে শতাধিক কারিগর ও ব্যবসায়ী নিয়োজিত। এবার ২ হাজার থেকে ২হাজার ৫শত টাকা একটি লেপ-তৈরীতে খরচ হয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর লেপ-তোষকের দাম একটু বেশি। কেননা এ বছর কাপড় ও তুলা বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে বলে জানান তারা।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

দেশে নারী সহিংসতার প্রতিবাদে বীরগঞ্জ বিজয় চত্বরে মানববন্ধন করে-এসবিডি।

দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে অশ্রু সিক্ত চোখে অবসরজনিত বিদায় আজিজুল হক শাহ

স্কুল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষামূলক করোনার টিকা শুরু বৃহস্পতিবার

বীরগঞ্জে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি

বীরগঞ্জে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি

রাণীশংকৈলে নববধূদের ঐতিহ্যবাহী ‘ভাদর কাটানি’ উৎসব,

বর্তমান সরকারের আমলে মৎস্য খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে -মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি

পীরগঞ্জ বণিক সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

রাণীশংকৈলে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

রুহিয়া খাদ্য গুদামকে ১১০ শতক জমি দান করলেন এমপি রমেশ চন্দ্র সেন

কুয়াশার সাথে শীতের তীব্রতা বেড়েছে দিনাজপুরে