রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা বুবলী
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আগামী প্রজন্মকে আলোকিত মানুষ ও
দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে তৈরীর কারিগর হতে চান
পঞ্চগড় প্রতিনিধি\ প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতায় রংপুর বিভাগে শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়েছেন নাজিরা নাসরিন বুবলী। তিনি পঞ্চগড়-১ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলা ও জেলা পর্যায়েও শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ২০০৫ সালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার দরুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে কর্মজীবনের শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে বর্তমান কর্মস্থলে বদলী হয়ে আসেন। বুবলী এটুআই এ আইসিটি ফোর ই এর পঞ্চগড়ের এম্বাসেডরের পাশাপাশি বাংলা বিষয়ে প্রশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষিকা নির্বাচিত হওয়ায় তার পরিবারের সাথে উচ্ছ¡সিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরাও। বুবলী পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক কাউন্সির বেলাল হোসেনের কন্যা। স্বামী হাসিনুর রহমান পঞ্চগড় বিএম কলেজে প্রভাষক পদে কর্মরত আছেন।
বুবলী বলেন, দেশের নামকরা বিদ্যলয়ের কাতারে তার কর্মরত বিদ্যালয়ের নাম লেখাতে সহকর্মীদের সহযোগিতা নিয়ে পথ চলছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আগামী প্রজন্মকে আলোকিত মানুষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে তৈরি করতে তিনি সদা তৎপর রয়েছেন তিনি। বুবলী জানান, আমি নিজ সন্তানের মত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ¯েœহ করি। শিক্ষার্থীদের অঙ্গভঙ্গী ও হাসি গানের মাধ্যমে বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় পাঠদান করায় শিক্ষার্থী অনেক মনোযোগি হচ্ছে। আগের তুলনায় বিগত কয়েক বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।
পঞ্চগড়-১ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা সত্যিকার অর্থে প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে একজন নিবেদিত প্রাণ শিক্ষককে বাছাই করে সম্মানিত করেছেন। আমি এ জন্য তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। বুবলী সত্যিকার অর্থেই একজন ভাল শিক্ষক। আশা করছি প্রাথমিক শিক্ষা পদক জাতীয় পর্যায়েও বুবলী তার অর্জন ধরে রাখবে। তিনি আরও বলেন, পঞ্চগড় পৌর এলাকার মধ্যে আমাদের স্কুলটি অনেকটাই ব্যতিক্রম। বর্তমানে এই স্কুলে প্রায় সাড়ে চারশ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে। এদের মধ্যে হরিজন শিক্ষার্থীও রয়েছে ৩০ জনের মত। প্রতিবছর ভর্তির সময় নতুন করে ভর্তির চাপ থাকলেও শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক সংকটের কারণে অনেক শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা সম্ভব হয় না। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।