বুধবার , ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের জিরোপয়েন্টে দর্শনার্থীদের মিলন মেলা

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
অক্টোবর ২৫, ২০২৩ ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ

হাকিমপুর প্রতিনিধি \ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট শুন্য রেখায় দুই বাংলার দশনার্থীদের ভীড়। সীমান্ত এলাকা যেন দর্শনার্থীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শুন্য রেখায় মঙ্গলবার সকাল থেকে দুর-দুরান্ত থেকে বিজয়া দশমীতে দু’বাংলার হিন্দু ধর্মালম্বীদের আগমন ঘটে।
এদিকে সীমান্তে কাঁটার তারের বেড়া এবং বিজিবি ও বিএসএফের কঠোর মনোভাবের কারণে এপার থেকে ওপারে যেতে না পারলেও শুন্য রেখায় দুই পাশে দাঁড়িয়ে ভারত ও বাংলাদেশের দর্শনার্থীরা একে অপরকে হাত তুলে সাড়া দিচ্ছে, না হয় ছবি তুলে দুঃখটাকে আনন্দে পরিণত করছেন।
শারদীয় দূর্গাপুজা উপলক্ষে হিলি সীমান্তের শুন্য রেখায় দু’বাংলার শত শত হিন্দু ধর্মালম্বীরা দেশের বিভিন্নস্থান থেকে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও পিকআপ, মোটরসাইকেল, চার্জার ভ্যান, অটো ভ্যানে দর্শনার্থী ও ভক্তরা আসেন। অপরদিকে ভারতের অভ্যন্তরেও বিভিন্নস্থান থেকে দর্শনার্থীরা এসেছেন ভারতের জিরোপয়েন্ট।
কয়েকজন দর্শনার্থী জানান,কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দুই বাংলাকে ভাগ করে দিলেও আমাদের মনকে তো আর ভাগ করতে পারেনি। তাই সীমান্তের শুন্য রেখায় ভালোবাসার টানে, প্রাণের টানে, নাড়ির টানে তারা ছুটে এসেছেন। এছাড়াও অনেকের আত্মীয়-স্বজন রয়েছে ভারতে। কাটাতারের ফাঁক দিয়ে দূর থেকে আত্মীয় স্বজনকে দেখছেন, হাত নেড়ে ইশারা করছেন। তবে একদিনের জন্য হলেও এপার বাংলা ওপার বাংলার মানুষেরা যেন প্রতিমা দেখতে পারে সেই জন্য দু’দেশের সরকারের কাছে দাবি করেছেন তারা।
বিজিবির হিলি আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার অহিদুল ইসলাম বলেন, হিলি সীমান্তে ষষ্ঠী পূজার দিন থেকেই দর্শনার্থীদের আসা লক্ষ্য করা গেছে। তবে অনুমতি না থাকায় সীমান্তের শূন্যরেখায় ওপারের স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হতে দেওয়া হচ্ছে না। তারা সীমান্তের রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে ভারতে থাকা স্বজনকে চোখের দেখা, হাত নেড়ে ইশারা কিংবা ছবি তুলে ঘুরে-ফিরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও