শনিবার , ২৮ অক্টোবর ২০২৩ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিরলে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী পাপেট শো বা পুতুল নাচ

প্রতিবেদক
ঠাকুরাগাঁও সংবাদ
অক্টোবর ২৮, ২০২৩ ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ

বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুরের বিরলে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী পাপেট শো বা পুতুল নাচ। লোকনাট্য ধারা এই পুতুল নাচ থেকে মানুষ এক সময় বিনোদনসহ বিভিন্ন প্রকার শিক্ষা গ্রহন করতো। গ্রামীণ মেলা বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নানা পৌরাণিক কাহিনী ও পালা মঞ্চায়নের মাধ্যমে মাতিয়ে রাখতো এই পুতুল নাচ। দর্শক শ্রোতার ভিড়ে গল্প, কবিতা,নাটক, অভিনয়, নাচ,গান, ভাস্কর্য এবং অন্যান্য সার্থক মিলন ঘটতো এই পুতুল নাচে। এই পুতুল নাচ আর এখন তেমন চোখে পড়ে না। সম্প্রতি শারদীয় দুর্গা পুজা উপলক্ষে বিলুপ্ত প্রায় এই পুতুল নাচ দিয়ে বিনোদনের ব্যবস্থা করে উপজেলার আজিমপুর ইউপি’র সিঙ্গুল মাঝাপাড়া গ্রামের দুর্গা পুজার আয়োজক কমিটি। এব্যাপারে কথা হয় আয়োজক কমিটির সভাপতি সুবাশ দাসের সাথে। তিনি জানান, বর্তমান সময়ে আমরা পুর্বের এই পুতুল নাচের মাধ্যমে দর্শক শ্রোতাদের রুচির পরিবর্তন ঘটানোর চেষ্টা করেছি। ষষ্ঠী থেকে শুরু করে বিজয়া দশমী পর্যন্ত ৫দিন ব্যাপী এই পুতুল নাচের আয়োজন করা হয়েছিলো। এই পুতুল নাচের মাধ্যমে পুষ্পমালা-কাঞ্চনকুমার, বেদের মেয়ে জ্যো¯œা, যৌতুকের বলি ময়না, মানুষ কেন অমানুষ, মুধুমালা-মদনকুমার, আমি জেল থেকে বলছিসহ নিমাই সন্যাস নাটক মঞ্চায়িত হয়েছে। এই পুুতুল নাচ বিশেষ করে নতুন প্রজন্মসহ মহিলা দর্শকদের মনে দারুণভাবে সাড়া ফেলেছে। সরকারসহ রুচিশীল মানুষদের চেষ্টায় বিলুপ্ত প্রায় এই পুতুল নাচকে এখনো রক্ষা করা সম্ভব। এসময় আপন চায়না পুতুল নাচের কন্ঠশিল্পি প্রদীব রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ন ভিডিও বিনোদনের সহজ লভ্যতার কারণে সুষ্ঠু ধারার বিনোদন ঐতিহ্যবাহী এই পুতুল নাচের কদর কমতে কমতে আজ শেষ অবস্থায় চলে এসেছে। এক সময় এই পুতুল নাচ ছিলো বিনোদনের মধ্যে একটি অন্যতম মাধ্যম। এখন এই পুতুল নাচ নিয়ে মানুষ সেভাবে আর ভাবে না। ফলে অনেকে এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছে। যদিও বছরে দুই এক দিন কারও আগ্রহ বা অনুপ্রেরণায় এই পুতুল নাচ হয়। আয়োজকগণ পুতুল নাচের জন্য আমাদের যে অর্থ দেয় তা দিয়ে আমাদের সংসার চলেনা। আমরা সব সময় অভাব অনাটনের মধ্যেই থাকি। নৃত্যশিল্পি নুর জামাল জানান, আমাদের এমন করুণ অবস্থা দেখে আমাদের নতুন প্রজন্মের এই কাজ শেখার কোন আগ্রহ নেই। শিল্পকলা একাডেমিসহ দেশের সরকার বাহাদুরের কাছে আমার আকুল আবেদন, বছরের অন্তত্য ৮০ দিন পুতুল নাচের মাধ্যমে কাজে লাগিয়ে আমাদের রক্ষা করুন। তাহলে একদিকে যেমন আমরা বাঁচবো। অন্যদিকে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পটিও বেঁচে থাকবে। এব্যাপারে আপনা চায়না পুতুল নাচের স্বত্বধিকারী কুদ্দুস বৈদেশীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, নতুনরা এ কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও পুরতানদের সাথে নিয়ে নানা সদস্যা ও প্রতিকুলাতার মাঝে এই ঐতিহ্যবাহী পাপেট শো বা পুতুল নাচটিকে টিকিয়ে রাখতে মনে প্রাণে চেষ্টা করে চলছি। জানিনা আর কতদিন ধরে রাখতে পারবো। সরকারের পরিকল্পিত টেকসই সিদ্ধান্ত ও পৃষ্টোপোষকতা পেলে নতুনদের একাজে অংশ গ্রহনের পাশা-পাশি এশিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।

সর্বশেষ - ঠাকুরগাঁও

আপনার জন্য নির্বাচিত

ইউটিউব দেখে মহিষ খামারে স্বাবলম্বী অনার্স পাশ আশরাফুল

মোল্লা আখুন্দকে প্রধান করে আফগানিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার

ঘোডাঘাটে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত

ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত

শিশু দুটিকে বাঁচিয়ে রাখার আকুতি বৃদ্ধ দম্পতির!

বিভিন্ন সংগঠনের শীতবস্ত্র বিতরন এফবিসিসিআই এবং দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র যৌথ উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

আজ ভাষা সৈনিক মরহুম প্রফেসর শাহ্ আব্দুল হাই এর মৃত্যুবার্ষিকী

বিরলে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ম্যাচের সমাপনী

বীরগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৪টি ঘর পুড়ে ছাই

দিনাজপুরে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার