বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: প্রতিদিনেই বাড়ছে কোন না কোন নিত্যপণ্যের দাম। এমন হয়েছে অনেক নিত্যপণ্যেই তার আগের দামের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এমন অবস্থায় সাধারণ থেকে মধ্যবিত্ত বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্যের দামের উত্তাপে ঘাম ঝরছে সবার। এরমধ্যে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে আলুর দাম অতীতের সব রেকর্ড কে অতিক্রম করেছে। পাশাপাশি পেঁয়াজের দামেও বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা। ক্রেতারা অভিযোগ করে বলছেন, বীরগঞ্জ পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় সকালেও বিক্রি হয়েছে ১০০টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ। আর দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৪০ টাকা বাড়িয়ে ১৪০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন বীরগঞ্জের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষ। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে পেঁয়াজ, আলু ও কাঁচা মরিচসহ সকল প্রকার সবজির দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ। লাগাতার হরতাল অবরোধের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো পড়েছে চরম বিপাকে। এর আগে যারা সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিন আয় করত তারা এখন ২/৩ দিন কোনোরকম কাজ করেন। কাজ করার বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন তারা। নিয়ন্ত্রণহীন সবজির বাজারে গিয়ে তাদের নাভিশ্বাস ওঠেছে। বীরগঞ্জ পৌরসভার কাঁচামালের আড়ৎতে সবজি বিক্রি করতে আসা মোহনপুর ইউনিয়নের নাটেরহাট গ্রামের কৃষক বদিউজ্জামান জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আজও আড়তে কাঁচামাল হিসেবে পটল ২৭ টাকা,বাঁধাকপি -ফুলকপি-২০ টাকা,মূলা ২০টাকা,বেগুন ২২ টাকা দরে আড়ৎদার কে দিলাম।
রবিবার (৫ নভেম্বর -২০২৩) সকালে সরেজমিনে উপজেলা সদরসহ শিবরামপুর, পলাশবাড়ী, শতগ্রাম,পাল্টাপুর, সুজালপুর, নিজপাড়া, মোহাম্মদপুর, ভোগনগর, সাতোর, মোহনপুর ও মরিচা ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট- বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু ৫০-৫৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৪০ টাকা, রসুন ২৪০ টাকা, পেঁয়াজ ১১০-১২০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কচুরমুখি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪৫ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, করলা ৫৫ টাকা, কাঁকরোল ৪০, টমাটো ৪০,শিম ৮০,লাউ ৩০,আদা-২৪০ কেজি,শশা-৩০ গাজর,১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রেয় করা হচ্ছে। বীরগঞ্জ দৈনিক বাজারে সবজি বিক্রেতা মো: মোজাম্মেল হক জানান, কয়েকদিন মধ্যে সবজির দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। শীতকালীন সবজি বাজারে আসা শুরু করেছে। কিছু দিনের মধ্যে এ সমস্যা দূর হবে। এব্যপারে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ফজলে এলাহী বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে কোনোরকম অসৎ পন্থা অবলম্বন করতে না পারে সে দিকে নজর দিয়ে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।