“বাবা তুম হরিশকে দায়ী করিও না। সব দোষ আমারি বাবা, আমি আসলে বোকা বাবা। কিন্তু সবাই বলতেছে আমি নাকি অতি চালাক। অতি চালাকের গলায় দড়ি, তাই তোমার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে চলে গেল। কারো নামে নালিশ করিও না বাবা।” এভাবেই চিঠি লিখে দিয়ে আত্মহত্যা করে তরুণী লিপি রায়।
দিনাজপুর শহরের একটি ছাত্রীনিবাস থেকে সেই তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দিনাজপুর শহরের মির্জাপুর বাস টার্মিনাল এলাকার একটি ছাত্রীনিবাসের কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত লিপি রায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভাওলাঘাট এলাকার রাজ কুমারের মেয়ে। তিনি ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। চাকরির প্রস্তুতির জন্য তিনি এক বছর ধরে দিনাজপুরের ছাত্রীনিবাসে থাকতেন।
দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিন্নাহ আল মামুন আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত ১০টার দিকে শহরের মির্জাপুরে এক ছাত্রীনিবাসে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায় তার কক্ষের কয়েকজন। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আত্মহত্যার আগে মেয়েটি একটি ডায়েরীতে সুইসাইড লেটার লিখে গেছে। লেটার দিয়ে আত্মহত্যার ক্লু পাওয়া যেতে পারে। এঘটনায় কোতয়ালী থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হবে।