“মাটি ও পানি: জীবনের উৎস” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট দিনাজপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোছাঃ বেবী নাজনীন।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম, বিএডিসি’র উপপরিচালক (বারি) মোঃ আব্দুর রশিদ, জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মোঃ মনজু আলম সরকার, জেলা ভেটিরিনারি অফিসার ডাঃ আশিকা আকবর তৃষা, বিএডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) সৈয়দা সাবিহা জাহান, গম গবেষণা কেন্দ্রের ড. মুহাম্মদ শামসুল হুদা, জেলা তথ্য অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ আলমগীর কবির, বিএডিসি’র যুগ্ম পরিচালক (পাটবীজ) ড. মোঃ সুলতানুল আলমসহ উপস্থিত কৃষকবৃন্দ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসটি বার্ষিক ইভেন্ট যা পৃথিবীতে জীবনকে সমর্থন করার জন্য মাটির তাৎপর্য প্রচার করার একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। এটির লক্ষ কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, জীবন বৈচিত্র, জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ এবং আরও অনেক কিছুতে মাটি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সে সম্পর্কে ব্যক্তি এবং সম্প্রদায়কে সচেতন করা। টেকসই কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থা অর্জনে মাটি পানির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পৃথিবীতে স্থলভাগের শতকরা প্রায় ৩৭ ভাগ এলাকা কৃষি কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। তার মধ্যে মাত্র শতকরা ১১ভাগে (১.৫ বিলিয়ন হেক্টর) ফসল উৎপাদন করা হয়। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২ এর আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষির উৎপাদনশীলতা দ্বিগুন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই টেকশই কৃষি উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্য অর্জনে সীমিত মৃত্তিকা সম্পকের টেকসই ব্যবস্থাপনার কোন বিকল্প নেই।